Maharashtra

ন’বছরে ২০ বিয়ে, নিশানায় বিধবারা! অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল প্রতারক

বেছে বেছে বিধবা মহিলাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাত। তাঁদের বিশ্বাস অর্জনের পর পাড়ত বিয়ের কথা। তার পর এক দিন সুযোগ বুঝে দামি জিনিসপত্র হাতিয়ে চম্পট দিত ‘বর’! গত ২৩ জুলাই সেই ‘বর’কেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৪ ১৫:৫৫

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

একাধিক মহিলাকে বিয়ের পর টাকা-গয়না ছিনতাই করে ফেরার হয়ে যেতেন যুবক! এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রে। দিন কয়েক আগে প্রতারিত মহিলাদের এক জন নালাসোপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করলে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৩ জুলাই ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পালঘর পুলিশ।

Advertisement

নালাসোপাড়ার মহিলার অভিযোগ, একটি ‘ম্যাট্রিমনি সাইটে’ ওই যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। কিছুদিনেই আলাপ গড়ায় প্রেমে। পরে বিয়েও হয়েছিল তাঁদের। ২০২৩ এর নভেম্বর মাস পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ওই যুবককে প্রায় সাড়ে ছ’লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন ওই মহিলা। দিয়েছিলেন মূল্যবান জিনিসপত্রও। তখনও বোঝেননি, প্রতারিত হচ্ছেন তিনি। এর পরেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে জানা যায়, ওই মহিলা একা নন, দেশের নানা প্রান্তের আরও ২০ জন মহিলার সঙ্গেও একই কাণ্ড ঘটিয়েছে যুবক!

ধৃত যুবকের নাম ফিরোজ নিয়াজি শেখ। পালঘর পুলিশ জানিয়েছে, বিভিন্ন সময়ে ২০ জনেরও বেশি মহিলার টাকা ও মূল্যবান জিনিস চুরি করে পালিয়েছে সে। অনলাইনে বিভিন্ন মহিলার সঙ্গে বন্ধুত্ব করত ফিরোজ। এরক পর তাঁদের বিয়ে করে মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে চম্পট দিত সে। এই মহিলাদের কেউ কেউ মহারাষ্ট্র, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাটের বাসিন্দা। এ ছাড়াও দেশের অন্যান্য রাজ্যেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন ফিরোজের স্ত্রীরা!

জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ২০১৫ সাল থেকেই এই প্রতারণার চক্র চালিয়ে আসছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, প্রতারিত মহিলাদের বেশির ভাগই ফিরোজের সঙ্গে সম্পর্ক হওয়ার সময় বিধবা ছিলেন। বেছে বেছে নাকি এরকম মহিলাদের সঙ্গেই অনলাইনে বন্ধুত্ব পাতাত অভিযুক্ত। তাঁদের বিশ্বাস অর্জনের পর বিয়ের কথা পাড়ত সে। সুখে দিন কয়েক কাটত নব-দম্পতির। তার পর এক দিন সুযোগ বুঝে মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে চম্পট দিত ‘বর’!

তদন্ত শুরুর সময় পুলিশের কাছে ফিরোজের কোনও ছবি ছিল না। ঘন ঘন ফোন নম্বরও বদলাত সে। এর পরেই ফিরোজকে ধরতে নতুন ফন্দি আঁটেন তদন্তকারীরা। এক মহিলার নামে ভুয়ো প্রোফাইল তৈরি করে অভিযুক্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এগোয় কথোপকথন। এর পর এক দিন তাকে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় দেখা করতে ডাকা হয়। এ ভাবেই পুলিশের পাতা ফাঁদে পা দেয় সে।

ফিরোজের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, ছয়টি মোবাইল ফোন, প্রতারিত মহিলাদের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড, চেকবুক, তিন লক্ষ নগদ টাকা এবং বেশ কিছু মূল্যবান গয়না বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। পালঘর পুলিশের সিনিয়র ইন্সপেক্টর বিজয় সিংহ ভাগল জানিয়েছেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখতে এখনও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

Advertisement
আরও পড়ুন