ঋণ শোধ করতে না পেরে আত্মঘাতী যুবক। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
দু’হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। শোধ করতে না পারায় স্ত্রীর বিকৃত ছবি দিয়ে যুবককে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগ উঠল ঋণদানকারী সংস্থার এজেন্টদের বিরুদ্ধে। তাঁদের চাপ সহ্য করতে না পেরে লজ্জায় আত্মঘাতী হলেন যুবক।
অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের ঘটনা। মৃত যুবকের নাম নরেন্দ্র (২৫)। অক্টোবরেই বিয়ে করেছিলেন তিনি। স্ত্রীকে নিয়ে বিশাখাপত্তনমে থাকতে শুরু করেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, যুবক পেশায় মৎস্যজীবী। কিন্তু সম্প্রতি নিম্নচাপ এবং দুর্যোগের কারণে টানা বেশ কয়েক দিন সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে পারেননি তিনি। মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে হাতে টাকা না-থাকায় একটি অ্যাপ থেকে দু’হাজার টাকা তিনি ধার নিয়েছিলেন।
অভিযোগ, ধার নেওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই ওই অ্যাপের এজেন্টরা যুবককে ঋণশোধের জন্য তাড়া দিতে শুরু করেন। ঋণ শোধ না করতে পারলে স্ত্রীর বিকৃত ছবি তাঁর আত্মীয়দের পাঠানো হবে বলেও হুমকি দেন। এর পর এক দিন যুবকের স্ত্রীর কাছে সেই বিকৃত ছবি পাঠানো হয়। ধার নেওয়া টাকা শোধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন দম্পতি। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, কিছু দিনের মধ্যেই যুবকের কাছে তাঁর আত্মীয়দের ফোন আসতে শুরু করে। দেখা যায়, ছবিগুলি তাঁদের কাছেও পৌঁছে গিয়েছে। লজ্জায় কাউকে মুখ দেখাতে পারছিলেন না যুবক। আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
অন্ধ্রপ্রদেশে ঋণদানকারী অ্যাপের মাধ্যমে হেনস্থার ঘটনা এই নিয়ে এক সপ্তাহে তৃতীয় বার ঘটল। কিছু দিন আগেই অনুরূপ কারণে আত্মহত্যায় উদ্যত তরুণীকে শেষ মুহূর্তে উদ্ধার করে পুলিশ। এই ধরনের অ্যাপের পাতা ফাঁদে পা না-দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে তারা। পর পর অনুরূপ ঘটনায় প্রশাসনও উদ্বিগ্ন।