Karnataka

টাকা নেই, তবু আইফোন অর্ডার! ডেলিভারি বয় পৌঁছতেই খুন করে দেহ লুকোলেন যুবক

পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক দিন আগে একটি ই-কমার্স সাইটে ৪৬ হাজার টাকার আইফোন অর্ডার করেন হেমন্ত। গত ৭ ফেব্রুয়ারি ডেলিভারি বয় ওই ফোনটি দিতে যান তাঁকে। তার পরেই এই খুন।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
আঙ্কোলা (কর্নাটক) শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:০৭
Man allegedly killed delivery boy after unable to pay for iPhone which he has ordere

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম হেমন্ত দত্ত। মৃত ডেলিভারি বয়ের নাম হেমন্ত নায়েক। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

অনেক দিনের শখ আইফোন কেনার। শেষমেশ ই-কমার্স সাইটে একটি ৪৬ হাজার টাকা মূল্যের আইফোন অর্ডার করেছিলেন যুবক। কিন্তু মোবাইল কেনার মতো টাকা ছিল না তাঁর কাছে। ডেলিভারি বয় পৌঁছতেই আইফোনটি নিয়ে তাঁকে খুন করেন। তার পর চার দিন দেহ লুকিয়ে রেখে শেষমেশ পুড়িয়েও দেন যুবক। এমনই অভিযোগে তোলপাড় কর্নাটকের হাসান জেলার আরাসিকিরে অঞ্চল। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম হেমন্ত দত্ত। মৃত ডেলিভারি বয়ের নাম হেমন্ত নায়েক। ২৩ বছরের ওই যুবককে খুনের পর বাড়িতেই দেহ লুকিয়ে রেখেছিলেন হেমন্ত। শনিবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, দিন কয়েক আগে একটি ই-কমার্স সাইটে ৪৬ হাজার টাকার আইফোন অর্ডার করেন হেমন্ত। গত ৭ ফেব্রুয়ারি ডেলিভারি বয় ওই ফোনটি নিয়ে হেমন্তের বাড়ির ঠিকানায় পৌঁছে যান। কিন্তু ফোন নিয়ে পৌঁছনোর পর ডেলিভারি বয়কেই মোড়ক খুলতে বলেন হেমন্ত। ডেলিভারি বয় সেটা করতে অস্বীকার করেন এবং তিনি হেমন্তের কাছে আইফোনের টাকা চান। এর পর কথা কাটাকাটি হতেই ডেলিভারি বয়কে ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে খুন করেন হেমন্ত। এর পর দিন চারেক নিজের বাড়িতেই লুকিয়ে রেখেছিলেন দেহ।

Advertisement

গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে একটি রেলসেতুর কাছে গিয়ে কেরোসিন ঢেলে দেহে আগুন ধরিয়ে দেন অভিযুক্ত।

অন্য দিকে, ভাইকে খুঁজে না পেয়ে ডেলিভারি বয়ের দাদা মঞ্জুনাথ নায়েক পুলিশের দ্বারস্থ হন। নিখোঁজ ডায়েরি করেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তার পরেই এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।

পুলিশ ওই ডেলিভারি বয়ের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে অভিযুক্তের কাছে পৌঁছয়। সেখানেই মৃতের মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এ ছাড়া, সংশ্লিষ্ট ই-কমার্স সংস্থার ব্যাগও মেলে অভিযুক্তের বাড়িতে।

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তও আগে ই-কমার্স সংস্থাতেই ডেলিভারি বয়ের কাজ করতেন। পরে সে কাজ ছেড়ে দেন। শখের ফোন অর্ডার করে টাকা জোগাড় করতে পারেননি। অন্য দিকে, অর্ডার করা ফোনও তাঁর কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। কী ভাবে টাকা দেবেন, এ সব ভাবতে ভাবতে ডেলিভারি বয়কে খুনের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। আরও তথ্য জানতে অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement