বৈঠক মুখোমুখি মমতা-মোদী। ছবি : টুইটার থেকে।
রাজ্যের নাম বদল নিয়েও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে মমতার। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘অনেকদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গের নাম বদল নিয়ে কথা হচ্ছে। আমি বলেছি, এবার দয়া করে বিষয়টি দেখুন।’’
‘‘অনেক রাজ্যের থেকে কম টিকা পেয়েছে বাংলা। পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যার নীরিখে এই সরবরাহ যথেষ্ট নয়। আমাদের টিকাকরণের হার ভাল। ইতিমধ্যে সংক্রমণ ৩৩ শতাংশ থেকে কমে ১ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। তবে আমরা চাই করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আগে পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেকের টিকাকরণ সম্পূর্ণ করতে। প্রধানমন্ত্রীকে সে কথা জানিয়েছি। উনি বলেছেন তিনি বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন।’’ জানালেন মমতা
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ভাল হয়েছে। তিনি তাঁর সমস্ত কথা শুনেছেন। এবং তাঁর দাবি গুলি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানালেন মমতা। তবে উপনির্বাচন নিয়ে কোনও কথা হয়নি।
রাজ্যে টিকা সরবরাহ বাড়াতে বলেছি, রাজ্য যথেষ্ট টিকার জোগান পাচ্ছে না, বললেন মমতা।
‘‘সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল’’, বললেন মমতা। জানালেন, জয়ের পর এই সাক্ষাৎ করতেই হত। ‘‘তাই এসেছি। তবে এর সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেছি’’, বললেন মমতা।
প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার বৈঠক শেষ। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
৭ নম্বর লোক কল্যাণ মার্গে ঠিক ৪টেয় ঢুকেছিলেন মমতা। এখনও বৈঠক চলছে। এই বৈঠক মূলত দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ।
বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই মোদী-মমতার দ্বৈরথ চলছে। এর আগে কলাইকুণ্ডায় মোদীর সঙ্গে দেখা হয়েছিল মমতার। তবে সেই সাক্ষাৎ ছিল স্বল্পস্থায়ী। ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির হিসেব দিয়েই সেখান থেকে চলে গিয়েছিলেন মমতা। তা নিয়ে বিতর্কও হয়েছিল বিস্তর।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষ হলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন মমতা। মোদীর সঙ্গে তাঁর কী কী বিষয়ে আলোচনা হল তা জানাবেন সাংবাদিক বৈঠকেই।
মোদীর সঙ্গে বৈঠক চলছে মমতার। এই বৈঠক শেষ হলে সন্ধে সাড়ে ছ’টা নাগাদ তিনি বৈঠক করবেন কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির সঙ্গে। সিঙ্ঘভি তৃণমূলের হয়ে আদালতে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি মামলা লড়েছেন। মমতার সঙ্গে তাঁর বৈঠকেও তাই নজর থাকবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।
বৈঠকে উঠতে পারে জিএসটি-সহ রাজ্যের বকেয়া প্রসঙ্গও। একই সঙ্গে রাজ্যকে টিকার জোগান দেওয়া নিয়ে কেন্দ্র কী নীতি নিতে চলেছে, তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে। মোদীর সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যপাল প্রসঙ্গও উঠতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। সোমবার রাতেই জৈন হাওয়ালা কাণ্ড প্রকাশ্যে এনেছিলেন যে সাংবাদিক, তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা। ১৯৯৬ সালের জৈন হাওয়ালা কাণ্ডের চার্জশিটে নামছিল রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়েরও। সোমবার দিল্লিতে পৌঁছেই ওই সাংবাদিকের মমতার সাক্ষাৎ নিয়ে তাই তৈরি হয়েছে জল্পনা।
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছে গেলেন মমতা।
দুপুর দু’টো নাগাদ মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা। দেখা করেন কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মার সঙ্গেও।
রাজ্যে টিকার যোগান বাড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করতে পারেন মমতা। কথা বলতে পারেন পেগাসাস বিতর্ক নিয়েও।
সোমবারি দিল্লি পৌঁছছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেল ৪টের সময় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। মমতা ইতিমধ্যেই রওনা হয়েছেন ৭ লোক কল্যাণ মার্গের উদ্দেশে।