গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
‘‘বৃহস্পতিবার বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষা না হলে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে না।’’ বুধবার মহারাষ্ট্র-কাণ্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি-পর্বে এ কথা বলেন শিবসেনার আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। পাশাপাশি, বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি জেবি পাড়িয়ালা বেঞ্চের কাছে তাঁর দাবি, মাত্র ৪৮ ঘণ্টার নোটিসে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডেকে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে আস্থাভোটের নির্দেশ দিয়ে সাংবিধানিক বিধি ভেঙেছেন রাজ্যপাল ভগত সিংহ কোশিয়ারি।
বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে শক্তিপরীক্ষার মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দেন রাজ্যপাল কোশিয়ারি। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন শিবসেনার মুখ্য সচেতক সুনীল প্রভু। রাজ্যপালের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানান তিনি।
উদ্ধব শিবিরের দাবি, একনাথ শিন্ডে-সহ ১৬ জন বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কের পদ খারিজের মামলা ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন। দলবিরোধী আচরণের অভিযোগে ডেপুটি স্পিকারের (ভারপ্রাপ্ত স্পিকার) নোটিসের জবাব দিতে ১২ জুলাই পর্যন্ত শিন্ডেদের সময় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তার মধ্যেই রাজ্যপালের এই নির্দেশ একেবারেই আইনসঙ্গত নয়।
বুধবার শুনানি পর্বে শিবসেনার আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ‘‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সুপারসনিক গতিতে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডেকে আস্থাভোট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক।’’ সিঙ্ঘভির দাবি, উদ্ধব সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের কথা জানিয়ে প্রথমে ৩৪ জন বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়ক ডেপুটি স্পিকার নরহরি সীতারাম জিরওয়ালকে চিঠি দিয়েছিলেন। যা পরিষদীয় দলের ভাঙনের জন্য প্রয়োজনীয় দুই তৃতীয়াংশ নয়। ফলে দলত্যাগ বিরোধী আইনে ওই ৩৪ জন বিধায়কের পদ খারিজ হওয়া অবশ্যম্ভাবী। তিনি বলেন, ‘‘এ ক্ষেত্রে ডেপুটি স্পিকারের হাত-পা বাঁধা। অন্য দিকে শুনানি পর্বে শিন্ডে শিবিরের আইনজীবীর দাবি, মহারাষ্ট্রে কোনও ঘোড়া কেনাবেচা হচ্ছে না, পুরো আস্তাবলটাই চলে গিয়েছে।