Cheetah

ঠাঁই কুলোবে না কুনোয়, আফ্রিকা থেকে আমদানি করা চিতার খাদ্যসঙ্কট এড়াতে নতুন প্রস্তাব!

নামিবিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ইতিমধ্যেই যে ২০টি চিতাকে কুনোতে আনা হয়েছে, তাদের কয়েকটির জন্য ‘বিকল্প বাসস্থানের’ আবেদন জানিয় জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের (এনটিসিএ) দ্বারস্থ হল তারা।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৩ ২৩:২৩
A Photograph of a Cheetah in Kuno National Park

আফ্রিকা থেকে আনা ৫০টি চিতা দূর অস্ত, মধ্যপ্রদেশের কুনো-পালপুর জাতীয় উদ্যানে ২০টির ঠাঁই হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ছবি: পিটিআই।

আশঙ্কার কথা আগেই জানিয়েছিলেন বন্যপ্রাণ বিজ্ঞানী যাদবেন্দ্রনাথ ঝালা। নরেন্দ্র মোদী সরকারের ‘ন্যাশনাল চিতা অ্যাকশন প্ল্যান’ (জাতীয় চিতা পুনঃস্থাপন কর্মসূচি)-র সদ্য অপসারিত প্রধান স্পষ্ট ভাষায় তাঁর রিপোর্টে জানিয়েছিলেন, আফ্রিকা থেকে আনা ৫০টি চিতা দূর অস্ত, মধ্যপ্রদেশের কুনো-পালপুর জাতীয় উদ্যানে ২০টির ঠাঁই হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

ঝালার সেই ভবিষ্যবাণী এ বার মেনে নিলস মধ্যপ্রদেশ সরকার। নামিবিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ইতিমধ্যেই যে ২০টি চিতাকে কুনোতে আনা হয়েছে, তাদের কয়েকটির জন্য ‘বিকল্প বাসস্থানের’ আবেদন জানিয় জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের (এনটিসিএ) দ্বারস্থ হল তারা। প্রসঙ্গত বিজ্ঞানী ঝালা সম্প্রতি বলেছিলেন, ‘‘কুনো জাতীয় উদ্যানের যা পরিসর, সেখানে ২০টি চিতার স্বচ্ছন্দ বসবাসের সুযোগ নেই। তা ছাড়া ওখানে চিতাদের শিকার করে খাওয়ার মতো হরিণ বা বনশুয়োরের অভাব রয়েছে।’’

Advertisement

তবে এ ক্ষেত্রে তাঁর পরামর্শ মোদী সরকার পরিচালিত এনটিসিএ মানবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কী সেই পরামর্শ? ঝালার কথায়, ‘‘কুনো জাতীয় উদ্যানের লাগোয়া মুকুন্দারা অভয়ারণ্যের কিছুটা অংশও চিতা পুনঃস্থাপন কেন্দ্রের অন্তর্গত করা প্রয়োজন।’’ তবে সেই অনুমোদন যে ‘রাজনীতি-সাপেক্ষ’, সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, ‘‘রাজস্থানের মুকুন্দরার জঙ্গলে খাবারের কোনও অভাব হবে না চিতাদের। তবে চিতার আবাসস্থলের ঠিকানা হিসেবে মুকুন্দরার জঙ্গল অধিগ্রহণে কেন্দ্র খুব একটা উৎসাহী নয়। আমার মনে হয়, এই অনীহা একেবারেই রাজনৈতিক কারণে।’’ কারণ, সে ক্ষেত্রে কংগ্রেস শাসিত রাজস্থান পেয়ে যাবে ‘চিতার ভাগ’।

সেপ্টেম্বরে নামিবিয়া থেকে প্রথম দফায় ৮টি চিতাকে আনা হয়েছিল কুনো-য়। দ্বিতীয় দফায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা হয় আরও ১২টি চিতা। তাদের খাদ্যসম্ভার হিসেবে আপাতত কুনোয় প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৩৮টি চিতল হরিণ রয়েছে। বিজ্ঞানী ঝালার মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে কুনোয় ১৫টির বেশি চিতা রাখা সম্ভব নয়। মধ্যপ্রদেশের অন্য দুই অভয়ারণ্য গান্ধীসাগর এবং নওরাদেহিতে চিতাদের বিকল্প বাসস্থান গড়ে তোলার প্রস্তাব থাকলেও সময় ও ব্যয়সাপেক্ষ। খরচের বহরও বাড়বে আরও অন্তত ৭৫০ কোটি টাকা। ঝালা বলেন, ‘‘তাই আমার প্রস্তাব ছিল, বেশি চিতা ছাড়তে হলে আপাতত মুকুন্দরা জঙ্গলটিকে ব্যবহার করা হোক। কিন্তু সেই যে প্রস্তাব আমল পায়নি, তা খোলাখুলি স্বীকার করেছিলেন তিনি। এ বার স্বীকার করে নিল বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশও!

Advertisement
আরও পড়ুন