মঙ্গলবার হরিয়ানার জিন্দে বিধানসভা ভোটের গণনাকেন্দ্র। ছবি: পিটিআই
কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেল বিজেপি। ভোটগণনায় এখনও পর্যন্ত ইঙ্গিত, বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৪৮টি আসনে। ভোটগণনার প্রথম দু’ঘণ্টায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার নম্বর এই প্রথম বার স্পর্শ করল পদ্মশিবির। কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ৩৭টি আসনে।
গণনা শুরুর পর প্রথম দিকে পিছিয়ে পড়েছিল বিজেপি। তবে দ্বিতীয় ঘণ্টায় পদ্মশিবির নিজেদের এগিয়ে থাকা আসনের সংখ্যা বেশ কিছুটা বৃদ্ধি করেছে। কমেছে কংগ্রেসের এগিয়ে থাকা আসন সংখ্যাও। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শুরু হয়েছে আবার। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কংগ্রেস ও বিজেপি উভয়েই ৪৩টি করে আসনে এগিয়ে রয়েছে।
বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী নায়ব সিংহ সাইনি এগিয়ে রয়েছেন লাডওয়া থেকে।
বিজেপির অনিল ভিজ পিছিয়ে রয়েছেন অম্বালা ক্যান্টনমেন্ট থেকে।
কংগ্রেসের বিনেশ ফোগাট এগিয়ে রয়েছেন জুলানা থেকে।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা ভুপিন্দর হুডা এগিয়ে রয়েছেন গরহি সম্পলা-কিলই থেকে।
বেশ কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রে একটু একটু করে নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শন শুরু করেছে বিজেপি। এগিয়ে থাকা আসনের সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে বিজেপির। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ২৬টি আসনে। তবে কংগ্রেসের থেকে এখনও অনেক পিছিয়ে। সর্বশেষ তথ্য, কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ৫৯টি আসনে। আইএনএলডি এবং জেজেপি এগিয়ে রয়েছে একটি করে আসনে। অন্যান্যরা এগিয়ে দু’টি আসনে।
হরিয়ানার জুলানা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এ বার কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে লড়ছেন কুস্তিগীর বিনেশ ফোগাট। গণনা শুরুর প্রথম এক ঘণ্টা শেষে, এগিয়ে রয়েছেন বিনেশ। তাঁর বিপরীতে বিজেপির টিকিটে লড়ছেন সেনার অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন যোগেশ বৈরাগী। গণনা শুরুর একে বারে প্রাথমিক পর্যায়ে তিনি এগিয়ে থাকলেও, কিছু ক্ষণের মধ্যেই তাঁকে ছাপিয়ে এগিয়ে যান বিনেশ।
গণনা শুরুর প্রথম এক ঘণ্টায় ইঙ্গিত, কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ৬১টি আসনে। বিজেপি অনেকটা পিছিয়ে। পদ্মশিবির আপাতত এগিয়ে রয়েছে ১৫টি আসনে। আইএনএলডি এগিয়ে রয়েছে তিনটি আসনে। জেজেপিও এগিয়ে একটি আসনে। অন্যান্যরা এগিয়ে তিনটি আসনে।
বিজেপিকে পিছনে ফেলে অনেকটা এগিয়ে গেল কংগ্রেস। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে দরকার ৪৬টি আসন। প্রাথমিক গণনার সর্বশেষ তথ্যে ইঙ্গিত, কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ৪৯টি আসনে। বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ১৫টি আসনে।
গণনা শুরুর প্রথম আধ ঘণ্টাতেই টান টান উত্তেজনা। বার বার বদলাচ্ছে অঙ্ক। বিজেপিকে পিছনে ফেলে আবারও এগিয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, প্রাথমিক গণনায় ইঙ্গিত কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ৩৩ আসনে। বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ১৯টি আসনে।
বুথফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত, হরিয়ানায় প্রত্যাবর্তন হতে পারে কংগ্রেসের। মঙ্গলবার গণনাপর্ব শুরুর আগে থেকেই দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর কার্যালয়ের সামনে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ভিড় দেখা গিয়েছে। এখন থেকেই দৃশ্যত উচ্ছ্বাসে মেতেছেন তাঁরা।
প্রাথমিক গণনায় মুহূর্তে মুহূর্তে বদলাচ্ছে ছবি। কখনও কংগ্রেস এগিয়ে যাচ্ছে। কখনও বিজেপি। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ১৫টি আসনে। বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ১৮ আসনে। বিএসপি এবং আইএনএলডি জোট এগিয়ে রয়েছে দু’টি আসনে। উভয়েই একটি করে আসনে এগিয়ে। জেজেপি এগিয়ে একটি আসনে।
হরিয়ানায় ভোটগণনার একে বারে প্রাথমিক গণনায় ইঙ্গিত কংগ্রেস ও বিজেপির কাঁটায় কাঁটায় টক্কর। গণনা শুরুর প্রথম ১৫ মিনিটে কংগ্রেস ও বিজেপি উভয়েই এগিয়ে রয়েছে ১০টি করে আসনে। অন্যান্যরা এগিয়ে তিনটি আসনে।
হরিয়ানার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পঙ্কজ আগরওয়াল জানিয়েছেন, গণনার দিনের জন্য ৯০ জন পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করা হয়েছে। ২২ জেলায় ৯০টি বিধানসভা আসনের জন্য মোট ৯৩টি গণনাকেন্দ্র রয়েছে।
সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগণনা। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গণনাকেন্দ্রগুলি। প্রথমে গোনা হচ্ছে পোস্টাল ব্যালটের ভোট। তার পরে ইভিএমের ভোট গণনা শুরু হবে।
বুথফেরত সমীক্ষাকে অবশ্য বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছেন না হরিয়ানার বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা নায়াব সিংহ সাইনি। বিজেপির ফের এক বার ক্ষমতায় আসার বিষয়ে আশাবাদী তিনি। গত দশ বছরে হরিয়ানায় কী কী উন্নয়নমূলক কাজকর্ম হয়েছে, ভোটগণনার আগে সেই পরিসংখ্যান তুলে ধরলেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী।
৫ অক্টোবর এক দফাতেই ভোট হয়েছে হরিয়ানায়। প্রায় ৬৭.৯০ শতাংশ ভোট পড়েছিল। এ বারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১,০৩১ জন প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ১০১ জন মহিলা প্রার্থী এবং ৪৬৪ জন নির্দল প্রার্থী। প্রত্যেকের ভাগ্য পরীক্ষা হবে মঙ্গলবার।
একাধিক বুথফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত, বিজেপিকে পিছনে ফেলে কংগ্রেসের প্রত্যাবর্তন হতে পারে কংগ্রেসের। কংগ্রেসের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে থাকছে বিজেপি। বুথফেরত সমীক্ষায় আভাস, সংখ্যাগরিষ্ঠতার অঙ্ক ছাপিয়ে পঞ্চাশের বেশি আসন পেতে পারে কংগ্রেস। যদিও বুথফেরত সমীক্ষা ভোটারদের মতের একটি আভাস মাত্র। অতীতে বুথফেরত সমীক্ষা যেমন মিলে যেতেও দেখা গিয়েছে, তেমনই একাধিক ূবার ভুলও প্রমাণিত হয়েছে।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর এই প্রথম বিজেপি ও কংগ্রেসের টক্কর। ৯০ আসনের হরিয়ানা বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ৪৬ আসন।