Fake Encounter Case

কাশ্মীরে সাজানো সংঘর্ষে খুনে যাবজ্জীবন জেলের সাজাপ্রাপ্ত সেনা অফিসার তিন বছরেই জামিনে মুক্ত

২০২০ সালের ১৮ জুলাই শোপিয়ানের আমশিপোরায় একটি সংঘর্ষে তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছিল সেনা এবং পুলিশ। তবে সেই জঙ্গিদের শনাক্ত করা হয়নি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শ্রীনগর শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ২৩:১৮
An image of Army

—প্রতীকী চিত্র।

জম্মু ও কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলায় সাজানো সংঘর্ষে তিন শ্রমিককে খুন করার অপরাধে সেনা আদালত (আর্মড ফোর্সেস ট্রাইব্যুনাল) যাবজ্জীবন জেলের সাজা দিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তিন বছরের মাথাতেই ভারতীয় সেনার সেই দাগি ক্যাপ্টেন ভূপেন্দ্র সিংহকে শর্তসাপেক্ষে জামিনে মুক্তি দেওয়া হল। আর্মড ফোর্সেস ট্রাইব্যুনাল জানিয়েছে, উচ্চতর বেঞ্চে পুনর্বিচার চলাকালীন মুক্ত থাকবেন ভূপেন্দ্র। তবে জানুয়ারি থেকে নিয়মিত ব্যাবধানে ট্রাইব্যুনালের প্রধান রেজিস্ট্রারের কাছে তাঁকে হাজিরা দিতে হবে।

Advertisement

২০২০ সালের ১৮ জুলাই শোপিয়ানের আমশিপোরায় একটি সংঘর্ষে তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছিল সেনা এবং পুলিশ। তবে সেই জঙ্গিদের শনাক্ত করা হয়নি। পুলিশ পরে জানায়, নিহত জঙ্গিদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের পরে নিয়ম মেনে বারামুলায় তাঁদের শেষকৃত্য করা হয়েছে। এর পর সমাজমাধ্যমে অভিযোগ তোলা হয় সাজানো সংঘর্ষে ঠাণ্ডা মাথায় রাজৌরির বাসিন্দা তিন শ্রমিককে খুন করা হয়েছে। বিতর্কের জেরে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।

তদন্তে উঠে আসে রাজৌরির কোট্রাঙ্কায় ধার সাকরি গ্রামের বাসিন্দা ২৬ বছরের সবর হুসেন, ১৮ বছরের ইবরার আহমেদ এবং ২১ বছরের ইবরার আহমেদকে সাজানো সংঘর্ষে খুন করেছে ক্যাপ্টেন ভূপেন্দ্রের নেতৃত্বে সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনী। সেনা তদন্ত আদালতের ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে ওই বছরেরই ডিসেম্বর মাসে ভূপেন্দ্রকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন জেলের সাজা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত ৯ নভেম্বর সেনা ট্রাইব্যুনাল জানায়, বিভিন্ন তথ্য যাচাই করে দেখা গিয়েছে, যে যে সাক্ষ্যপ্রমাণের উপর ভিত্তি করে ভূপেন্দ্রকে সাজা দেওয়া হয়েছে তা যথেষ্ট নয়। তাই জামিনে মুক্তি দিয়ে তাঁকে উচ্চতর বেঞ্চে পুনর্বিবেচনার আবেদনের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।

Advertisement
আরও পড়ুন