সাফারি পার্কের পাশের জঙ্গল থেকে ঢুকে পড়েছিল চিতাবাঘটি। প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
গুজরাতের ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’র কাছে সাফারি পার্কে ঢুকে পড়েছিল একটি চিতাবাঘ। পার্কে থাকা কৃষ্ণসার হরিণের দলে হামলা চালায় সেটি। একটিকে শিকার করে। কিন্তু আতঙ্কে মৃত্যু হয় আরও সাতটি হরিণের।
বন দফতরের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, পার্কের বেড়াজাল টপকে ভিতরে ঢুকে পড়েছিল চিতাবাঘটি। পার্কটি কেভারিয়া ফরেস্ট ডিভিশনের মধ্যে পড়ে। ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’র কাছেই পার্কটি। শূলপানেশ্বর অভয়ারণ্যের মধ্যেও পড়ে সেটি। এই অভয়ারণ্যে চিতাবাঘ রয়েছে। তবে চিতাবাঘ যাতে কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করতে না পারে, তার জন্য পার্কটিকে বেড়াজাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে।
বন দফতর সন্দেহ করছে, সেই বেড়াজাল টপকে চিতাবাঘটি পার্কে ঢুকে পড়েছিল। তার পরই হরিণের দলের উপর হামলা চালায়। বাকি যে সাতটি কৃষ্ণসার হরিণ ছিল, সেগুলিরও মৃত্যু হয়। সন্দেহ করা হচ্ছে, আতঙ্কেই মৃত্যু হয়েছে হরিণগুলির। তবে একসঙ্গে এতগুলি হরিণের আতঙ্কে মৃত্যু হয়েছে কি না সেই কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্ত করা হয়।
কেভারিয়া ফরেস্ট ডিভিশনের দায়িত্বে থাকা বনাধিকারিক অগ্নিশ্বর ব্যস জানিয়েছেন, সাফারি পার্কটি ঘন জঙ্গল দিয়ে ঘেরা। ফলে ওই জঙ্গলে চিতাবাঘ মাঝেমধ্যেই দেখা যায়। কিন্তু এই প্রথম সাফারি পার্কের ভিতরে ঢুকে পড়েছে চিতাবাঘ। পার্কে ৪০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে নজরদারির জন্য। সেই ক্যামেরায় চিতাবাঘের গতিবিধি ধরা পড়তেই বনরক্ষীদের সতর্ক করা হয়। চিতাবাঘটিকে আবার জঙ্গলে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়। এই ঘটনার পর সাময়িক ভাবে পার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয় পর্যটকদের জন্য। যদিও দু’দিন বন্ধ থাকার পর আবার খুলেছে সেটি।