নীতীশ কুমার। ফাইল চিত্র।
বিহারে অপরাধের হার কমাতে ২০১৬ সালে রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নীতীশ কুমারের সরকার। ছ’বছর পর তাঁরই দলীয় সতীর্থ, জেডি (ইউ)-র সংসদীয় বোর্ডের চেয়ারম্যান উপেন্দ্র কুশওয়াহা দাবি করলেন, এই সিদ্ধান্তে আদৌ সাফল্য মেলেনি। স্বভাবতই, উপেন্দ্রর এই বক্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছে নীতীশ প্রশাসন।
নিজের বক্তব্যের সপক্ষে উপেন্দ্র বলেন, “সরকারের মদ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের পরেও মদ বিক্রি পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। এখান থেকেই প্রমাণিত যে, শুধু সরকারের সদিচ্ছা থাকলেই হবে না। জনগণকেও এ বিষয়ে সদিচ্ছা দেখাতে হবে।” তবে একই সঙ্গে কুশওয়াহা জানান, তৎকালীন বিহার সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলেই বিহারে অপরাধের হারে লাগাম পরানো গিয়েছে।
অবশ্য উপেন্দ্রর এই বক্তব্যের সূত্র ধরে আসরে নেমে পড়েছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। নীতীশ কুমার এবং তাঁর সরকারের সমালোচনা করে বিজেপি নেতা নিখিল আনন্দ বলেন, “নিঃসন্দেহে নীতীশ কুমারের চেয়ে উপেন্দ্র কুশওয়াহা অনেক বেশি সৎ এক জন নেতা। কিন্তু রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ হওয়ার পরেও অপরাধের হার কমেনি। এখান থেকেই প্রমাণিত যে, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে যতই ঢাক পেটানো হোক, কার্যক্ষেত্রে তা কোনও সাফল্য পায়নি।”
সোমবারই একটি পর্যালোচনা বৈঠকে বিহার প্রশাসন স্থির করে যে, এ বার থেকে মদ্যপ ব্যক্তিদের নয়, মদ বিক্রি ও চোরাচালান করা ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হবে। এর ফলে রাজ্যে মদের জোগান ও সরবরাহ বন্ধ করা যাবে বলে মনে করছে বিহার সরকার। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে মদ বিক্রি করার সিদ্ধান্ত ঘোষিত হওয়ার পর একাধিক বার এর নিয়মকানুনে বদল এনেছে বিহার সরকার।