চিন সীমান্তে অত্যাধুনিক মাল্টি-ব্যারেল রকেট লঞ্চার পাঠিয়েছে ভারতীয় সেনা। শত্রুপক্ষের কামান বা ক্ষেপণাস্ত্রের অবস্থান চিহ্নিত করে সেটা ধ্বংস করা পিনাকার কাজ।
এটি একটি রকেট আর্টিলারি সিস্টেম। ১৯৯৬ সালে কার্গিল যুদ্ধে এই রকেট লঞ্চার কাজে লাগানো হয়েছিল।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সেই যুদ্ধে ভারতকে জয় এনে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল পিনাকা। পাহাড়ের মাথা থেকে শত্রুপক্ষের কামান নিস্ক্রিয় করে দিতে সফল হয়েছিল। সেই পিনাকাই এ বার আরও শক্তি বাড়িয়ে পাহারা দিচ্ছে চিন সীমান্ত।
কী এই পিনাকা রকেট লঞ্চার? কী ক্ষমতা রয়েছে এর? শত্রুপক্ষকে নিমেষে গুঁড়িয়ে দিতে কতটা কার্যকরী?
ভারতে তৈরি মাল্টিপল রকেট লঞ্চার পিনাকা। ডিআরডিও এটি তৈরি করেছে। মাত্র ৪৪ সেকেন্ডে একসঙ্গে ৭২টি ক্ষেপনাস্ত্র ছুড়তে সক্ষম পিনাকা।
এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সহজে নিয়ে যাওয়ার জন্য এটি একটি ট্রাকের উপর রাখা থাকে। সেই ট্রাক চালিয়েই এর স্থানান্তর করানো হয়।
যত দিন গিয়েছে এই রকেট লঞ্চার আরও শক্তি বাড়িয়েছে। ডিআরডিও এর আরও উন্নত সংস্করণ ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে।
১৯৮৬ সালের ডিসেম্বর থেকে এই রকেট লঞ্চার তৈরির কাজ শুরু হয়। বাজেট ছিল সাড়ে ২৬ কোটি টাকা।
১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে এর কাজ সম্পন্ন হয়। স্বয়ংক্রিয় ভাবে, রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে কাজ করতে সক্ষম এটি।
২০১৯ সালে এর সর্বশেষ সংস্করণ আনে ডিআরডিও। তার পাল্লা ছিল ৯০ কিলোমিটার।
এর আরও উন্নত সংস্করণ আনতে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে ডিআরডিও। ইজরায়েল মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিস-এর সঙ্গে যৌথ ভাবে এর উন্নয়নে কাজ চালাচ্ছে ডিআরডিও।