Nipah Virus

নিপা ভাইরাসের হানায় দ্বিতীয় মৃত্যু দেখল কেরল, মলপ্পুরমে প্রাণ গেল ২৪ বছর বয়সী যুবকের

গত ১৩ জুলাই মলপ্পুরমের পান্ডিক্কারে নিপার কবলে মারা যায় ১৪ বছর বয়সি এক কিশোর। এর পরেই নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্য জুড়ে জারি হয় সতর্কতা। কোনও রকম উপসর্গ দেখলেই নিভৃতবাসে থাকার পরামর্শ দেয় স্বাস্থ্য দফতর।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩:০৯

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

কেরলে আবার ছড়াল নিপা ভাইরাসের আতঙ্ক। মলপ্পুরমে নিপা-সংক্রমণে মৃত্যু হল ২৪ বছর বয়সি এক যুবকের। রবিবার পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি (এনআইভি) এই মৃত্যুর খবরটি সুনিশ্চিত করেছে। বেশ কিছু দিন সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর।

Advertisement

মৃত যুবক পড়াশোনার সূত্রে বেঙ্গালুরুতে থাকতেন। সম্প্রতি এনসেফালাইটিসের উপসর্গ নিয়ে মলপ্পুরমের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। সময় পেরোলেও তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। শেষমেশ সেখানেই গত ৯ সেপ্টেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। কোঝিকোড়ের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভাইরোলজি ল্যাবে তাঁর রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলে প্রাথমিক ভাবে নিপা ভাইরাসের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। রবিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুণের এনআইভিও।

রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “যুবকের সংক্রমণের বিষয়টি সুনিশ্চিত করেছে এনআইভি। মলপ্পুরমের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছি। প্রোটোকল মেনে সমস্ত রকম পদক্ষেপ করা হয়েছে। নিপা সংক্রমণ রোধে ১৬টি কমিটিও তৈরি করা হয়েছে।” বীণা জানাচ্ছেন, ওই যুবকের সংস্পর্শে আসা আরও পাঁচ জনের রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

এ পর্যন্ত কেরলে পাঁচ বার নিপা ভাইরাস সংক্রমণের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। প্রথম বার ২০১৮ সালে, সে বার ১৭ জন মারণ ভাইরাসের থাবায় প্রাণ হারান। প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন দু’জন। পরের বছর ২০১৯ সালে ফের এর্নাকুলাম থেকে সংক্রমণের খবর আসে। এর পর ২০২১ এ নিপা-সংক্রমণে মারা যায় ১২ বছরের এক কিশোর। ২০২৩ এও নিপার কারণে দু’জনের মৃত্যু হয়েছিল। চলতি বছরেও মারণ ভাইরাস হানা দেওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে কেরলে।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুলাই মলপ্পুরমের পান্ডিক্কারে নিপার কবলে মারা যায় ১৪ বছর বয়সি এক কিশোর। এর পরেই নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্য জুড়ে জারি হয় সতর্কতা। সকলকে মাস্ক পরতে অনুরোধ করার পাশাপাশি বিধিনিষেধ জারি করা হয় হাসপাতালে ঢোকা ও বেরোনোর ক্ষেত্রেও। কোনও রকম উপসর্গ দেখলেই নিভৃতবাসে থাকার পরামর্শ দেয় স্বাস্থ্য দফতর। সেই ঘটনার দু’মাস পর ফের মৃত্যু হল যুবকের।

আরও পড়ুন
Advertisement