কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন (বাম দিকে)। কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান।
রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত নতুন মোড় নিল কেরলে। রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতের আবহেই বুধবার কেরলের বাম সরকার রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে ঐক্যমতে এসেছে পিনারাই বিজয়নের সরকার। পরে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী আর বিন্দু এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
কেরল প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্যপালকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে সরানোর জন্য শীঘ্রই বিধানসভায় অর্ডিন্যান্স আনতে চলেছে সরকার। তবে এ বিষয়ে প্রস্তাব পাশ হলেও নিয়ম মোতাবেক তাতে অনুমোদন দিতে হবে রাজ্যপালকেই। সে ক্ষেত্রে বড় হয়ে উঠতে পারে রাজ্যপালের ভূমিকা। অবশ্য উচ্চশিক্ষা মন্ত্রীর দাবি, সরকারের তরফে প্রস্তাব পাশ করানো হয়ে গেলে রাজ্যপাল তাতে বাধা দিতে পারেন না। রাজ্যপালকে সরিয়ে ওই পদে রাজ্যের কোনও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদকে আনার পরিকল্পনা করেছে কেরল।
বিগত বেশ কয়েক দিন ধরেই নানা বিষয়ে কেরল সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের মতপার্থক্যের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। সম্প্রতি সে রাজ্যের এপিজে আব্দুল কালাম প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিয়োগকে ‘অবৈধ’ বলে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এরপরই কেরল সরকারের উপর চাপ বাড়িয়ে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের এই পদক্ষেপকে ‘অনধিকার চর্চা’ বলে দাবি করে তাঁর অপসারণ চায় রাজ্যের শাসক দল সিপিএম।
কেরল অবশ্য প্রথম নয়। এর আগে পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্য, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরানোর বিষয়ে প্রস্তাব পাশ করেছে। তা রাজ্যপালের অনুমোদনক্রমে আইনি স্বীকৃতিও পেয়েছে।