MUDA Scam

‘সব প্রশ্নের সত্য জবাব দিয়েছি’, দুর্নীতি মামলায় লোকায়ুক্তের জিজ্ঞাসাবাদের পর বললেন সিদ্দারামাইয়া

অভিযোগ, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী পার্বতীকে অধিগৃহীত জমির তুলনায় অনেক বেশি মূল্যের গুরুত্বপূর্ণ ও ভাল জমি ক্ষতিপূরণ হিসেবে মহীশূর নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ পাইয়ে দিয়েছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:৪৮
Karnataka CM Siddaramaiah questioned by Lokayukta in illegal land allotment case

সিদ্দারামাইয়া। —ফাইল ছবি।

জমি বণ্টনে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করল কর্নাটকের লোকায়ুক্ত পুলিশ। বুধবার বেঙ্গালুরুর লোকায়ুক্ত পুলিশ দফতরে প্রায় দু’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, পুরো জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব ভিডিয়ো রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে পেশ করা হবে।

Advertisement

অন্য দিকে, জিজ্ঞাসাবাদ-পর্বের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সিদ্দারামাইয়া বলেন, ‘‘ওঁরা যে প্রশ্নগুলি করেছিলেন, আমি তার জবাব দিয়েছি।’’ গত ২৮ সেপ্টেম্বর ‘মাইসুরু নগরোন্নয়ন বিভাগ’ (মুডা)-এর জমি বেআইনি ভাবে বিলি করার অভিযোগে সিদ্দারামাইয়া, তাঁর স্ত্রী পার্বতী, শ্যালক মল্লিকার্জুন স্বামী এবং দেবরাজু নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল লোকায়ুক্ত পুলিশ। পার্বতীকে নোটিস পাঠিয়ে তলব করে গত ২৫ অক্টোবর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। এর পরে ৪ নভেম্বর নোটিস পাঠানো হয় সিদ্দারামাইয়কে। তাঁকে বুধবার হাজির হতে বলেছিল লোকায়ুক্ত পুলিশ। সেই নির্দেশ মেনেই হাজিরা দিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, তথ্যের অধিকার কর্মী স্নেহময়ী কৃষ্ণের অভিযোগের ভিত্তিতে এই সংক্রান্ত মামলার সূত্রপাত। গত অগস্টে রাজ্যপাল থবরচন্দ গহলৌত মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিচার শুরুর অনুমোদন দিয়েছিলেন। সেপ্টেম্বরের গোড়ায় কর্নাটক হাই কোর্ট তাতে স্থগিতাদেশ দিয়ে পরে এমপি-এমএলএ আদালতে ফেরত পাঠায়। এর পর বেঙ্গালুরুর বিশেষ এমপি-এমএলএ আদালত অভিযোগের তদন্ত করার জন্য মহীশূরের লোকায়ুক্ত পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিল।

অভিযোগ, সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী পার্বতীকে অধিগৃহীত জমির তুলনায় অনেক বেশি মূল্যের গুরুত্বপূর্ণ ও ভাল জমি ক্ষতিপূরণ হিসেবে মহীশূর নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এমইউডিএ) পাইয়ে দিয়েছেন। প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে এফআইআরে নাম রয়েছে সিদ্দারামাইয়ার। সঙ্গে রয়েছে তাঁর স্ত্রী পার্বতী, শ্যালক মল্লিকার্জুন স্বামী এবং জনৈক দেবরাজুর নাম। দেবরাজুর থেকে জমি কিনে মল্লিকার্জুন উপহার দিয়েছিলেন পার্বতীকে।

মহীশূরের কাসারে গ্রামে মোট ৩.১৬ একর জমির ক্ষতিপূরণে এই দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। কর্নাটক বিজেপি অভিযোগ করেছে, টাকার অঙ্কে দুর্নীতি হয়েছে প্রায় চার হাজার কোটির। আরও অভিযোগ, ওই ৩.১৬ একর জমির আইনি নথিও ছিল না পার্বতীর কাছে। সিদ্দারামাইয়া অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, আইন মেনেই সব হয়েছে। কোনও অনিয়ম হয়নি।

Advertisement
আরও পড়ুন