Karnataka Assembly Election 2023

শনির সকাল ৮টা থেকে গণনা শুরু কর্নাটকে! মল্লিকার্জুন খড়্গের রাজ্যে কি জয় পাবে কংগ্রেস?

২২৪ আসনের কর্নাটক বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ‘জাদু সংখ্যা’ ১১৩। ২০০৭ সাল থেকে চার দফায় ক্ষমতা দখল করলেও কখনওই সেই সংখ্যা ছুঁতে পারেনি বিজেপি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২৩ ২২:১৭
Karnataka Assembly Election Results 2023, counting of 224 seats on May 13

মল্লিকার্জুন খড়্গে, জেপি নড্ডা এবং এইচডি দেবগৌড়া। ফাইল চিত্র।

ক্ষমতাসীন বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না বলেই অধিকাংশ বুথফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিত। তার মধ্যে কয়েকটিতে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, এ বার সেখানে ত্রিশঙ্কু বিধানসভা গঠিত হতে চলেছে। সে ক্ষেত্রে ‘নির্ণায়ক’ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার দল জেডিএস-এর ভূমিকা। আবার অন্য সমীক্ষার ইঙ্গিত, ২২৪ আসনের কর্নাটক বিধানসভায় গরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ‘জাদু সংখ্যা’ ১১৩ ছুঁয়ে ফেলবে কংগ্রেস।

এই পরিস্থিতিতে শনিবার হতে চলেছে দক্ষিণ ভারতের এক মাত্র বিজেপি শাসিত রাজ্যে বিধানসভা ভোটের গণনা। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, সকাল ৮টা থেকে রাজ্যের ৩৬টি গণনা কেন্দ্রে শুরু হবে ইভিএম-বন্দি জনমত গোনার কাজ। প্রসঙ্গত, গত বুধবার (১০ মে) বিধানসভা ভোটে মোট ৭৩.২ শতাংশ ভোট পড়েছিল কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের রাজ্যে।

Advertisement
Karnataka Assembly Election Results 2023, counting of 224 seats on May 13

বুথফেরত সমীক্ষায় কংগ্রেস এগিয়ে কর্নাটকে। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

গত আড়াই দশক ধরেই ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে চলেছে কর্নাটক। ক্ষমতাসীন বিজেপি, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার নেতৃত্বাধীন জেডিএস-এর মধ্যে। এ বারেও তেমনটাই হওয়ার সম্ভবনা। গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্বাই, বিজোপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সিটি রবি, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার এবং তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (কংগ্রেস), জগদীশ শেট্টার (কংগ্রেস) এবং এইচডি কুমারস্বামী (জেডি-এস)।

২০১৮-র বিধানসভা নির্বাচনে ১০৪টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। কংগ্রেস ৮০ এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার জেডি(এস) ৩৭টিতে জেতে। শতাংশের হিসাবে প্রথম স্থানে ছিল কংগ্রেস। ‘হাত’ চিহ্নের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩৮.১৪ শতাংশ। বিজেপি ৩৬.৩৫, জেডিএস ১৮.৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। এর পর কংগ্রেসের সঙ্গে ভোট পরবর্তী সমঝোতা করে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন দেবগৌড়া-পুত্র কুমারস্বামী। কিন্তু ২০১৯-এর জুলাই মাসে দু’দলের দেড় ডজন বিধায়ক ভাঙিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল বিজেপি।

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ২০০৭ সাল থেকে ৪ দফায় ক্ষমতা দখল করলেও কখনওই সেই সংখ্যা ছুঁতে পারেনি পদ্ম-শিবির। তাদের ৪ মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে কেউই ৪ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। এর মধ্যে ২০০৮-এর নির্বাচনে বিজেপির ফল সবচেয়ে ভাল হয়েছিল। তারা জিতেছিল ১১০টি আসনে। গত সাড়ে ৩ বছরের প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার আঁচ উপেক্ষা করে নরেন্দ্র মোদীর দল যদি ক্ষমতা দখল করতে পারে তবে আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির মনোবল অনেকটাই উঁচুতে থাকবে। আর তার উল্টোটা হলে? কর্নাটকে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার ‘দীর্ঘ উপস্থিতির সুফলের যুক্তি’ দিতে সুবিধা হবে কংগ্রেসের।

আরও পড়ুন
Advertisement