—প্রতীকী চিত্র।
হিন্দু বিবাহ আইনে কন্যাদান জরুরি নয়। একটি মামলায় সম্প্রতি এমনটাই জানাল ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। তবে বিয়ের অন্য একটি রীতির প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান বিচারপতি। তা হল ‘সপ্তপদী’ বা সাত পাকে বাঁধা। মামলাকারীর আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
আশুতোষ যাদব নামের এক ব্যক্তি সম্প্রতি তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন জানিয়েছেন। অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মিথ্যা অপরাধের অভিযোগ এনে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। আবেদনে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, তাঁর বিয়ের আইনত বৈধতা নেই। কারণ, হিন্দু বিবাহ আইন অনুসারে বিয়ের স্বীকৃতির জন্য যে ‘কন্যাদান’-এর রীতি প্রচলিত, তা তাঁর বিয়ের সময়ে পালন করা হয়নি।
এই আবেদন নিয়ে প্রথমে নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ব্যক্তি। তিনি বিয়ের আইনত বৈধতা নেই প্রমাণ করে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অপরাধের অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতী চেয়েছিলেন। নিম্ন আদালত তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয়। তার পর ইলাহাবাদ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন ব্যক্তি।
হাই কোর্টের বিচারপতি সুভাষ বিদ্যার্থীর পর্যবেক্ষণ, ‘‘হিন্দু বিবাহ আইনে বিয়ের অত্যাবশ্যক রীতি হিসাবে ‘সাত পাকে বাঁধা’-র উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু বিয়ের সময় কন্যাদান হয়েছে কি না, তা এ ক্ষেত্রে বিচার্য হবে না।’’ মামলাকারীর আবেদন খারিজও করে দিয়েছেন তিনি।
‘কন্যাদান’ এবং ‘সাত পাকে বাঁধা’— দুই-ই হিন্দু বিবাহে পরিচিত এবং প্রচলিত রীতি। বিয়ের সময়ে বিশেষ রীতির মাধ্যমে কন্যার বাড়ির লোক কন্যাকে তাঁর অভিভাবক পাত্রের হাতে ‘দান’ করে দেন। অনেকে বর্তমানে এই রীতির যৌক্তিকতা এবং প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তার মাঝে ইলাহাবাদ হাই কোর্টের এই নির্দেশের আলাদা তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।