মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। —ফাইল চিত্র।
তিনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কমল নাথ দিল্লিতে পৌঁছেও গিয়েছেন। দলবদলের জল্পনার মাঝে শনিবারের পর রবিবারও মুখ খুললেন তিনি। জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিলেন।
রবিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে কমল বলেন, ‘‘আমি গতকালও আপনাদের বলেছি, এই ধরনের কিছু ঘটলে আপনাদেরই প্রথমে জানাব। আমি কারও সঙ্গে কোনও কথা বলিনি।’’
লক্ষণীয়, শনিবারের মতো রবিবারও কিন্তু কমল দলবদলের জল্পনা উড়িয়ে দেননি। বরং কৌশলে প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে জল্পনা আরও জিইয়ে রেখেছেন। বিজেপি সূত্রে খবর, সোমবার তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন।
পুত্র তথা কংগ্রেস সাংসদ নকুল নাথকে নিয়ে শনিবার দিল্লিতে গিয়েছেন কমল। তার আগে নকুল নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডল থেকে ‘কংগ্রেস’ পরিচয় মুছে দেন। যা জল্পনায় কার্যত সিলমোহর দিয়ে দিয়েছিল।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কংগ্রেসের অন্দরে কমলকে নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে। তিনি রাজ্যসভার টিকিট চেয়েছিলেন। কিন্তু শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁর সেই ইচ্ছা পূরণ করেনি। তার পরেই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কমল। যদিও কংগ্রেস শিবির এই জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি জিতু পটওয়ারি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘ইন্দিরা গান্ধীর তৃতীয় পুত্র কখনও বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন? এ কি স্বপ্নেও ভাবা যায়?’’ মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেসের অন্যান্য নেতাও জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন।
শনিবার দিল্লিতে পৌঁছে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা খোলসা করে না বললেও কমল সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘‘আপনারাই এত উত্তেজিত হচ্ছেন, আমি হচ্ছি না। এ রকম কিছু ঘটলে আপনাদেরই প্রথম জানাব।’’ রবিবারও একই সুর ধরে রাখলেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বছর মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ঝড়ে কার্যত ‘উড়ে গিয়েছিল’ কংগ্রেস। ২৩০ আসনের মধ্যে বিজেপি পায় ১৬৩টি আসন। কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ৬৬টি আসন। তার পরেই দলের অন্দরে কমলকে কোণঠাসা করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে কমলকে সরিয়ে বসানো হয়েছিল তাঁর ‘বিরোধী’ হিসাবে পরিচিত জিতুকে। এমনকি, বিরোধী দলনেতার পদও তিনি পাননি। তার পর রাজ্যসভায় যাওয়ার ইচ্ছার কথা কমল দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের কাছে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে দল আগ্রহ দেখায়নি বলে সূত্রের দাবি।