ঝাঁসির অগ্নিদগ্ধ হাসপাতাল। — ফাইল চিত্র।
ঝাঁসির ওই হাসপাতালে আরও তিন শিশুর মৃত্যু। যদিও হাসপাতাল তাদের মৃত্যুর কারণ হিসাবে অগ্নিকাণ্ডকে দায়ী করতে নারাজ। চিকিৎসকের দাবি, নিছক অসুস্থতার জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই তিন শিশুর। গত শুক্রবার হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পাঁচটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে বুধবারই মৃত্যু হয়েছে তিন শিশুর।
শুক্রবার রাতে উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসির মহারানি লক্ষ্মীবাঈ মেডিক্যাল কলেজের সদ্যোজাত শিশু (এনআইসিইউ) বিভাগে আগুন লেগে ১০ সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়। উদ্ধার করা হয় বাকিদের। আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিল আরও ১৬ শিশু। পরে পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক নরেন্দ্র সেঙ্গার জানিয়েছেন, তার মধ্যে শুধু বুধবারই মৃত্যু হয়েছে তিন শিশুর।
তবে, হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের পরেও মোটামুটি সুস্থই ছিল ওই তিন শিশু। তাদের শরীরে কোনও পোড়া বা আঘাতের চিহ্নও ছিল না। তা সত্ত্বেও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল তাদের। চিকিৎসকদের দাবি, অসুস্থতাজনিত কারণেই গত ২৪ ঘণ্টায় ওই তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে সুস্থ হয়ে ওঠার মুখে হঠাৎ কী ভাবে ওই তিন শিশুর মৃত্যু হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ওই তিন শিশুর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
গত শুক্রবার রাতের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গড়া হয় চার সদস্যের তদন্তকারী দল। ঠিক কী ভাবে আগুন লাগল, তা জানতে শুরু হয় তদন্ত। শুরু হয় নানা জল্পনাও। প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ তোলেন, হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রে ত্রুটি ছিল। দুর্ঘটনার সময় কাজ করেনি ‘ফায়ার অ্যালার্ম’ও। কেউ বলেন, দেশলাই জ্বালিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডারের পাইপ জোড়া লাগানোর চেষ্টা করছিলেন কর্তব্যরত এক নার্স, সেই থেকেই দুর্ঘটনা। জেলাশাসক অবিনাশ কুমার জানান, শর্ট সার্কিট থেকেও অগ্নিকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। এর পরেই দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেয় উত্তরপ্রদেশ সরকার। ইতিমধ্যেই মৃত শিশুদের পরিবারের জন্য ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে যোগী সরকার। পাশাপাশি, আহত প্রতিটি শিশুর পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।