—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পুজোর সময়ে যাঁরা বেড়াতে যাবেন তাঁদের এখন থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। এত দিন ওয়েটিং লিস্টের টিকিট নিয়েও সফর করার যে অভ্যাস, তা এ বার ছাড়তে হবে। কেউ কনফার্ম না হওয়া টিকিট নিয়ে সংরক্ষিত বগিতে উঠলে জরিমানা তো হবেই, সেই সঙ্গে পরবর্তী যে স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াবে, টিকিট পরীক্ষক সেখানে নামিয়ে দিতে পারেন।
দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট দু’ভাবে কাটা যায়। অনলাইন ছাড়াও এখনও কাউন্টার থেকে টিকিট কাটেন অনেকে। অনলাইনের টিকিট যদি কনফার্ম না হয়, তবে সংশ্লিষ্ট ট্রেনের যাত্রীতালিকা তৈরি হয়ে গেলেই বাতিল হয়ে যায়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টিকিট বাতিল বাবদ যে টাকা প্রাপ্য, তা গ্রাহককে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু টিকিট কাউন্টার টিকিট কাটলে তা গ্রাহককে নিজের থেকে বাতিল করাতে হয়। ফলে অনেকেই ট্রেনে ওই টিকিট নিয়ে উঠে পড়েন। স্লিপার বা বাতানুকুল বগিতে এই উঠে পড়া যাত্রীদের জন্যই নিয়মে কড়াকড়ি করল রেল।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্রিটিশ আমল থেকেই কনফার্ম না হওয়া টিকিট নিয়ে ট্রেনে ওঠা যায় না। কিন্তু এত দিন যাত্রীদের কথায় তা নিয়ে কড়াকড়ি ছিল না। টিকিট পরীক্ষক ওয়েটিং লিস্টের যাত্রীদের দিনের বেলা সংরক্ষিত বগিতে সফর করতে দিতেন। এ নিয়ে কনফার্ম টিকিটের যাত্রীদের আপত্তিও অনেক দিনের। তবে সম্প্রতি রেলের কাছে অনেক অভিযোগ জমা পড়ে। অভিযোগ করা হয়, ট্রেনের সফরে শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে। অনেক সময়েই নির্দিষ্ট আসন দখল করে রাখছেন ওয়েটিং লিস্টে থাকা যাত্রী। এর পরেই ঠিক হয়েছে, এখন আর ওয়েটিং লিস্টের টিকিট নিয়ে সংরক্ষিত কামরায় সফর করতে দেওয়া হবে না। ধরা পড়লে তার পরে যে স্টেশনে ট্রেন থামবে, টিকিট পরীক্ষক সেখানে নামিয়ে দেবেন। সঙ্গে দিতে হবে ৪০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা। সাধারণ বগিতে ২৫০ টাকা এবং বাতানুকূল বগিতে ৪০০ টাকা। সেই সঙ্গে ওই যাত্রী যেটুকু পথ সফর করেছেন, তার ভাড়াও নেবেন টিকিট পরীক্ষক। তবে কোনও যাত্রীর কাছে ওয়েটিং লিস্টের টিকিট থাকলে তিনি আগাম টিকিট পরীক্ষককে জানিয়ে সাধারণ বগিতে সফর করতেই পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে টিকিট বাতিল করে আর অর্থ পাবেন না রেলের থেকে।