— প্রতীকী চিত্র।
কৌশলগত ড্রোন যুদ্ধের আঙিনায় নতুন পদক্ষেপ করল ভারত। দূরনিয়ন্ত্রিত ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ড্রোনের পরীক্ষা সফল হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থার (ডিআরডিও) সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই ড্রোন তৈরি করেছে সেনা। পঞ্জাবের পঠানকোটে সেনার ফ্লিয়োর ডি লিস ব্রিগেডে এই ড্রোনের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে। এই ড্রোনে ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী অস্ত্র রাখা হয়েছে। সেটি ট্যাঙ্কের উপরে আঘাত করলে ঘটবে বিস্ফোরণ।
সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ‘রাইজ়িং স্টার ড্রোন ব্যাটল স্কুল’-এ তৈরি হয়েছে এই ড্রোনটি। ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠান ১০০টিরও বেশি ড্রোন তৈরি করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্পূর্ণ ‘আত্মনির্ভর’ পদ্ধতিতে তৈরি এই ড্রোনের ক্ষেত্রে ড্রোনের দেহের গঠনের মান, বিভিন্ন যন্ত্রাংশের সমন্বয় ও পরিবর্তনের উপরে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ভারতীয় সেনার। সহজেই চালনা করা যায় ড্রোনটিকে। ফলে অভিযানে সেটি ব্যবহার করা
খুবই সহজ।
সেনা জানিয়েছে, ড্রোনে থাকা অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে দ্বিস্তরীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে কেবল নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতেই ব্যবহার করা যায় ড্রোনে থাকা অস্ত্র। ‘রেডিয়ো কন্ট্রোলার’ যন্ত্রের মাধ্যমে কেবল ড্রোনচালকই ওই অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবেন।
ড্রোনে থাকা অস্ত্রের পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রতি মুহূর্তে খবর পাবেন ড্রোনচালক। ফলে পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন তিনি।
২০২১ সালের জুন মাসে জম্মুর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে বিস্ফোরণ ঘটাতে ড্রোন ব্যবহার করে পাকিস্তানি মদতে পুষ্ট জঙ্গিরা। তখনই ড্রোন নিয়ে বড় ধরনের চর্চা শুরু হয় ভারত সরকার ও বাহিনীর নানা স্তরে। ড্রোন-বিধ্বংসী ব্যবস্থা মোতায়েনের পাশাপাশি দেশীয় পদ্ধতিতে ড্রোন তৈরির উপরেও জোর দেয় মোদী সরকার।