Indian Army

লাদাখে পিছোল সেনা, মোদী-শি বৈঠকের জল্পনা

দু’বছর আগে গত ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় পেট্রপোলি ১৪-য় ভারতীয় সেনা ও চিনা সেনা (পিএলএ)-র মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। পরবর্তীতে সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা শুরু হয়।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:০৮
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

আজ থেকে পূর্ব লাদাখের গোগরা ও হট স্প্রিং এলাকা থেকে সেনা পিছিয়ে আনা শুরু করল দু’দেশ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, দু’দেশের মধ্যে হওয়া ষোড়শ বৈঠকে সহমতের ভিত্তিতেই দুই দেশ সেনা পিছিয়ে নেওয়ার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা আগামী সপ্তাহে উজ়বেকিস্তানের এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পার্শ্ববৈঠকের জল্পনাকে আরও বাড়িয়ে দিল।

দু’বছর আগে গত ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় পেট্রপোলি ১৪-য় ভারতীয় সেনা ও চিনা সেনা (পিএলএ)-র মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। পরবর্তী ধাপে উত্তেজনা কমাতে সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা শুরু হয়। আলোচনার ভিত্তিতে বেশ কিছু এলাকায় মুখোমুখি অবস্থান থেকে দু’দেশ সেনা পিছনো (ডিজ়এনগেজমেন্ট ) ও সেনা সংখ্যা কমিয়ে (ডিএসক্যালেশন) আনে। আজ দু’দেশের পক্ষ থেকে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কমান্ডার পর্যায়ের ১৬ তম বৈঠকের ভিত্তিতে গোগরা-হটস্প্রিং (পেট্রলিং পয়েন্ট-১৫) সমন্বয়ের ভিত্তিতে ও পরিকল্পিত ভাবে সেনা পিছিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে। ওই পদক্ষেপ সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছে দু’পক্ষই।

Advertisement

দুই শিবিরের ওই ইতিবাচক পদক্ষেপ এসসিও-তে এক মঞ্চে উপস্থিত দু’দেশের নেতাদের মধ্যে পার্শ্ববৈঠকের জল্পনাকে হাওয়া দিয়েছে। কূটনৈতিক সূত্রে বলা হচ্ছে, এ কথা ঠিক এখনও পার্শ্ববৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়নি, কিন্তু দু’দেশের মধ্যে ইতিবাচক আবহকে দীর্ঘস্থায়ী করতে একান্তে কিছু ক্ষণ আলাপচারিতা সেরে নিতে পারেন মোদী ও শি। এ কথা ঠিক, এখনও লাদাখ সীমান্তে বেশ কিছু প্রান্তে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে চিনা ফৌজ। ফলে কূটনৈতিক শিবির বলছে,সীমান্ত পরিস্থিতি আগের মতো স্বাভাবিক না হলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঠিক রাখা সম্ভব নয়। কিন্তু দুই নেতা মুখোমুখি বসলে সংকট নিরসনের ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে বলেই মনে করছে কূটনীতিকরা।

দু’বছর আগের আগ্রাসনে চিন সেনা প্যাংগং লেকের ভিতরে আঙুলের মতো ঢুকে আসা ফিঙ্গার-৪ পর্যন্ত চলে আসে। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে তারা ফিঙ্গার-৫ পর্যন্ত পিছিয়ে গেলেও, অতীতে ভারতীয় সেনা যেমন ফিঙ্গার-৮ পর্যন্ত টহলদারির সুযোগ পেত, তা বন্ধ হয়, যা নিয়ে আপত্তি রয়েছে ভারতের। এ ছাড়া উত্তর লাদাখের দৌলত বেগ ওল্ডি বায়ুসেনা ঘাঁটির কাছে ডেপসাং উপত্যকায় নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে বসে রয়েছে চিনা ফৌজ। ওয়াই জংশনের কাছে চিন ফৌজের ওই উপস্থিতির কারণে পেট্রলিং পয়েন্ট ১০ এবং পেট্রলিং পয়েন্ট ১৩-এ যাওয়া বন্ধ রয়েছে ভারতীয় বাহিনীর। এই এলাকাগুলি নিয়ে জট সম্পূর্ণ না কাটা পর্যন্ত দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক কতটা স্বাভাবিক হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।

আরও পড়ুন
Advertisement