India-US Agreement

ভারত-আমেরিকার সাংস্কৃতিক চুক্তি সই, ফিরবে প্রাচীন সম্পদ

সাংবাদিক বৈঠকে শেখাওয়াত জানিয়েছেন, এই চুক্তির ফলে আমেরিকা থেকে ভারতে ফেরানো সম্ভব হবে এ দেশের মূল্যবান প্রত্নবস্তু।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২৪ ০৮:২৪
প্রাচীন দুষ্প্রাপ্য সম্পদ তার উৎসস্থলে ফেরাতে সম্পন্ন হল ভারত ও আমেরিকার চুক্তি।

প্রাচীন দুষ্প্রাপ্য সম্পদ তার উৎসস্থলে ফেরাতে সম্পন্ন হল ভারত ও আমেরিকার চুক্তি। ছবি: পিটিআই।

দেশের মহার্ঘ্য সাংস্কৃতিক সম্পদ চোরাকারবারিদের হাত থেকে রক্ষা এবং প্রাচীন দুষ্প্রাপ্য সম্পদ তার উৎসস্থলে ফেরাতে গত কাল সম্পন্ন হল ভারত ও আমেরিকার চুক্তি। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক জানিয়েছে, দু’দেশের মধ্যে এই প্রথম বার এমন সাংস্কৃতিক চুক্তি হল। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিসচিব গোবিন্দ মোহন এবং ভারতে অবস্থিত আমেরিকান দূত এরিক গার্সেটি এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ভারতমণ্ডপমে ৪৬তম ওয়র্ল্ড হেরিটেজ কমিটির সম্মেলনে চুক্তি স্বাক্ষরের লগ্নে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াতও।

Advertisement

সাংবাদিক বৈঠকে শেখাওয়াত জানিয়েছেন, এই চুক্তির ফলে আমেরিকা থেকে ভারতে ফেরানো সম্ভব হবে এ দেশের মূল্যবান প্রত্নবস্তু। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, এই তালিকায় রয়েছে ২৯৭টি দ্রব্য। যা আমেরিকা ফেরাতে প্রস্তুত। অন্য দিকে ভারতে থাকা ৩৫৮টি প্রাচীন সম্পদ ফেরানো হবে আমেরিকায়। অবশ্য তার মধ্যে বহু দ্রব্যই ইতিমধ্যে আমেরিকাকে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রীর কথায়, “চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হল, পাচারকারীদের ঠেকানো এবং যেখানকার সম্পদ সেখানে ফেরানো।”

আমেরিকান দূতাবাস জানিয়েছে, এই চুক্তি রূপায়ণের মাধ্যমে ভারত যোগ দিল আরও ২৮টি দেশের সঙ্গে। যাদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই সাংস্কৃতিক সম্পদ সংক্রান্ত একই ধরনের চুক্তি রয়েছে আমেরিকার। একই সঙ্গে আমেরিকার বক্তব্য, এই চুক্তির দু’টি দিক। প্রথমত, ভারতের জিনিস সে দেশে ফেরানো এবং দ্বিতীয়ত, গোটা বিশ্বের সঙ্গে ভারতের সেতুবন্ধন। গার্সেটি বলেন, “ভারতের সংস্কৃতি জানার মধ্যে মানব সংস্কৃতির জ্ঞান রয়েছে।”

উল্লেখ্য এই চুক্তিটির ক্ষেত্রে সদর্থক ভূমিকা নেয় আমেরিকার বিদেশ দফতর। ১৯৭০-এর ইউনেস্কো কনভেনশন অনুযায়ী আমেরিকান আইনের অধীনে চুক্তিটি কার্যকর করা হয়েছে। ওয়র্ল্ড হেরিটেজ কমিটির ৪৬তম অধিবেশন আয়োজনের জন্য ভারতকে অভিনন্দন জানিয়েছে আমেরিকা। তাদের বক্তব্য, এর মাধ্যমে শুধু দায়বদ্ধতা নয়, নিজস্ব সংস্কৃতি রক্ষার্থে ভারতের তৎপরতাও স্পষ্ট হয়েছে।

আমেরিকান দূতাবাস জানিয়েছে, দু’দেশের বিশেষজ্ঞদের বছর দু’য়েকের নিরন্তর পরিশ্রমেরই ফসল এই চুক্তি। যা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পারস্পরিক সহায়তা ঐক্যের বার্তার প্রতিভূ।

আরও পড়ুন
Advertisement