India Maldives Relationship

‘মোদীকে অপমান’ বিতর্কে আরও চাপে মলদ্বীপ, এ বার সে দেশের রাষ্ট্রদূতকে জরুরি তলব করল ভারত

ভারত এবং মোদীকে অপমান করার অভিযোগে ঘরে-বাইরে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে তিন মন্ত্রীকে সাসপেন্ড করেছে মলদ্বীপ। এ বার এই বিতর্কের আবহেই সে দেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব করল নয়াদিল্লি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:৫১
India summoned Maldivian envoy amid row over ministers’ remarks against PM Narendra Modi

মলদ্বীপের রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম সাহিবকে তলব ভারতের। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

ভারত এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে অবমাননাজনক মন্তব্য করার অভিযোগে রবিবারই তিন মন্ত্রীকে সাসপেন্ড করেছে মলদ্বীপ সরকার। এ বার দ্বীপরাষ্ট্রটির উপর আরও চাপ বাড়িয়ে মলদ্বীপের রাষ্ট্রদূতকে জরুরি তলব করল ভারত।

Advertisement

সোমবার সকালেই মলদ্বীপের রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম সাহিবকে ডেকে পাঠানো হয়। সমাজমাধ্যমের একাধিক ভিডিয়োয় দেখা যায়, সোমবার ভোরে দিল্লির সাউথ ব্লকে বিদেশ মন্ত্রকের দফতরে ঢুকছেন মলদ্বীপের ওই কূটনীতিক। কিছু সময় পরে তাঁকে সেখান থেকে বেরিয়ে যেতেও দেখা যায়। যদিও এই ভিডিয়োগুলির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।

সম্প্রতি ভারতের ক্ষুদ্রতম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লক্ষদ্বীপে গিয়েছিলেন মোদী। সেই সফরের বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়। অভিযোগ, মলদ্বীপের তিন মন্ত্রী এবং বেশ কিছু রাজনীতিক তেমনই কিছু ছবিতে মোদীকে ‘পুতুল’ এবং ‘জোকার’ বলে মন্তব্য করেন। ভারত-ইজ়রায়েল সম্পর্ক নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়। পরে অবশ্য বিতর্কের মুখে পোস্টগুলি মুছে দেওয়া হয়।

মন্ত্রীদের ওই মন্তব্যে ভারতের সমাজমাধ্যমে ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়। সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় চারদিকে। মলদ্বীপ সরকার প্রথম দিকে বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব না দিলেও পরে সে দেশের বিরোধী দলগুলিও এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে সরকারের সমালোচনা শুরু করে। মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলি (যাঁকে হারিয়ে মুইজ়ু সম্প্রতি ক্ষমতায় এসেছেন) এবং আর এক প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাসিদ মোদীর সমালোচনা করা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি তোলেন। তাঁরা জানান, ভারত মলদ্বীপের গুরুত্বপূর্ণ ‘মিত্র’। সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে এমন মন্তব্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। এর পরই ঘরে বাইরে চাপের মুখে মুইজ়ু সরকার তিন মন্ত্রীকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয়।

মুইজ়ু চিনপন্থী শাসক হিসাবে পরিচিত। এর আগে মলদ্বীপে যিনি ক্ষমতায় ছিলেন, সেই সোলি আবার ভারত ঘেঁষা। ফলে তাঁকে হারিয়ে মুইজ়ু কুর্সিতে বসার পরেই মলদ্বীপ এবং ভারতের সম্পর্কে বদলের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। ক্ষমতায় আসার পরে ভারতের সেনাকে মলদ্বীপ থেকে সরে যেতে বলেন প্রেসিডেন্ট মুইজ়ু। অন্য দিকে, চিনের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতাও কারও নজর এড়ায়নি। তবে মন্ত্রীদের মন্তব্য ঘিরে বিতর্কে মু্ইজ়ুকেও কিছুটা পিছু হটতে হয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন