লাহোরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইমরান খানকে। ছবি রয়টার্স।
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গুলিবিদ্ধ। ফের অস্থিরতা শুরু হয়েছে ওয়াঘা সীমান্তের ওপারে। তবে এ নিয়ে এখনই কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে নারাজ ভারত। বরং বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ঘটনাটি সবে মাত্র ঘটেছে। আমরা পরিস্থিতির দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখছি। পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সে দিকেও নজর রাখা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে এখনই কোনও বক্তব্য না রাখার যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, “যেহেতু ঘটনাটি কিছু সময় আগেই ঘটেছে, তাই এখনই এই বিষয়ে বলার কিছু নেই।”
বৃহস্পতিবার বিকেলে পাক পঞ্জাব প্রদেশের গুজরনওয়ালার আলওয়ালা চকে একটি ট্রাকে সওয়ার ইমরান তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশে লং মার্চে যোগদানের আবেদন জানাচ্ছিলেন। সে সময় এক ব্যক্তি এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে।
হামলাকারীকে গ্রেফতার করা হয় ঘটনাস্থলেই। ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা ফাওয়াদ চৌধরি জানিয়েছেন, আহত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য লাহোরে আনা হচ্ছে। হামলার ঘটনার পিছনে কোনও জঙ্গি সংগঠন জড়িত বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পাক পুলিশ।
পাকিস্তানে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে গত শুক্রবার লাহোর থেকে ইসলামাবাদ লং মার্চ শুরু করেছন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দলের সব নেতা, কর্মী ও সমর্থককে লাহোরের লিবার্টি চকে সমবেত হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন ইমরান। সেখান থেকে তাঁরা সকলে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার হেঁটে ইসলামাবাদে যাচ্ছেন। সেই কর্মসূচির অংশ হিসাবেই ওয়াজিরাবাদের অদূরে গুজরনওয়ালায় দলীয় সমর্থকদের সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন ইমরান। সেখানেই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে।
ইমরানের পায়ে একাধিক গুলি লেগেছে বলে তাঁর দলের নেতাদের দাবি। আপ্ত সহায়ক-সহ আরও কয়েক জন নেতা-কর্মী গুলি বিদ্ধ হয়েছেন।