Congress Bank Accounts Frozen

‘কংগ্রেসের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ় করা যাবে না’, আয়কর আপিল ট্রাইবুনালের রায় স্বস্তি দিল রাহুলদের

কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন শুক্রবার অভিযোগ করেন, যুব কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন শাখা সংগঠনের অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত (ফ্রিজ়) করেছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রনাধীন আয়কর দফতর।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:২২

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেসকে স্বস্তি দিল আয়কর সংক্রান্ত আপিল ট্রাইবুনালের রায়। দলের আইনজীবী সেলের নেতা বিবেক তঙ্খা দাবি করেছেন, শুক্রবার দিল্লি আপিল ট্রাইবুনাল বেঞ্চ জানিয়েছে, আয়কর দফতর তাঁদের দলের কোনও অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ় করতে পারবে না। স্বাভাবিক ভাবেই অ্যাকাউন্টগুলিতে লেনদেন চালানো যেতে পারে বলেও নির্দেশে জানানো হয়েছে।

Advertisement

কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন শুক্রবার সকালে অভিযোগ করেছিলেন, যুব কংগ্রেস-সহ শাখা সংগঠনগুলির কাছে আয়কর রিটার্ন সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগে ২১০ কোটি টাকা জরিমানার দাবি জানানো হয়েছিল সংশ্লিষ্ট দফতরের তরফে। বিষয়টি এখন আয়কর ‘অ্যাপিলেট ট্রাইবুনাল’-এর বিচারাধীন। এর মধ্যেই বেআইনি ভাবে পদক্ষেপ করে আয়কর দফতর দলের চারটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ় করেছে।

অজয়ের অভিযোগের কয়েক ঘণ্টা পরেই রাজ্যসভা সাংসদ বিবেক জানান, ট্রাইবুনালের দিল্লি বেঞ্চ জানিয়েছে ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে লেনদেনে বাধা নেই। তিনি বলেন, ‘‘আমি ট্রাইবুনালকে বলেছিলাম, এমন হলে আমরা লোকসভা ভোটে অংশ নিতে পারব না। ট্রাইবুনাল জানিয়েছে, একটি ‘লিয়েন’ থাকলেও অ্যাকাউন্টগুলি ব্যবহারে কোনও বাধা নেই।’’ তবে লোকসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদীর সরকার ইডি, আয়কর দফতরের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে কাজে লাগিয়ে বিরোধীদের উপর চাপ বাড়াতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন বিবেক।

প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের সাংসদ এবং বিধায়কেরা তাঁদের ভাতার যে অংশ দলীয় তহবিলে দিতেন, ‘ফ্রিজ়’ করা অ্যাকাউন্টগুলিতে তা রাখা রয়েছে বলে দাবি করেছেন অজয়। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কাছে কোন সাংসদ ও বিধায়ক কত টাকা দিয়েছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। তা-ও অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ় করা হল। দেশে এখন গণতন্ত্রের অস্তিত্ব নেই। কার্যত একদলীয় স্বৈরাচার চলছে। প্রধান বিরোধী দলের বিরুদ্ধে সরকারি সংস্থাকে কাজে লাগানো হচ্ছে। আমরা বিচার বিভাগ, সংবাদমাধ্যম এবং জনগণের কাছে ন্যায়বিচার চাইব।’’ তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, আয়কর দফতরের এই পদক্ষেপে লোকসভা ভোটের আগে অনুদান গ্রহণ এবং খরচে সমস্যা দেখা দিতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনী বন্ড ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণার পরে বিরোধীদের অনুদান বন্ধ করতে এই কৌশল নিয়েছে মোদী সরকার।

আরও পড়ুন
Advertisement