Kolkata Doctor Rape and Murder

বিচারের জন্য সুপ্রিম কোর্টে ভরসা রাখুন! আন্দোলনকারী ডাক্তারদের আইএমএ বলল, এ বার নিজের কাজে ফিরুন

সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলা নিয়ে আগের শুনানিতে দেশের চিকিৎসকদের কাজে ফিরতে অনুরোধ করেছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। আইএমএ আন্দোলনকারীদের সুপ্রিম কোর্টের কথায় ভরসা রাখতে অনুরোধ করেছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:৪৪
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে চিকিৎসকদের আন্দোলন জারি রয়েছে।

আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে চিকিৎসকদের আন্দোলন জারি রয়েছে। ছবি: পিটিআই।

আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের এ বার কাজে ফিরতে অনুরোধ করল আইএমএ। আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে লেখা একটি চিঠিতে ভারতীয় চিকিৎসক সংগঠনের সভাপতি লিখেছেন, ‘‘আরজি করের ঘটনা গোটা দেশের বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছে। দেশ ওই নিহত চিকিৎসককে কন্যাসম মর্যাদা দিয়েছে। ওই ঘটনা চিকিৎসক সম্প্রদায়কে আলোড়িত করার মতোই। সুপ্রিম কোর্টও স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি শুনছে। তবে এ বার আন্দোলকারী চিকিৎসকেরা বিচারের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের হাতেই ছেড়ে দিন। তাঁরা এ বার নিজেদের কাজে ফিরুন।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা এএনআই ওই চিঠির বয়ান প্রকাশ করেছে। তাতে আইএমএর সভাপতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকাকেই। তিনি বলেছেন, ‘‘দেশের চিকিৎসক সম্প্রদায়ের উচিত সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্যকেই মেনে চলা।’’ বৃহস্পতিবারই সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি। সেই শুনানিতে শীর্ষ আদালত কী বলে, সেদিকে নজর থাকবে গোটা দেশের। তার আগের দিনই আন্দোলনরত চিকিৎসকদের তাঁদের দায়িত্ব স্মরণ করাল আইএমএ।

সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলা নিয়ে আগের শুনানিতে দেশের চিকিৎসকদের কাজে ফিরতে অনুরোধ করেছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে এমসের চিকিৎসকেরা কাজে ফিরলেও আরজি কর-সহ পশ্চিমবঙ্গের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি বন্ধ হয়নি। আরজি করের আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরাও জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করছেন না। আইএমএ-র সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের সেই অনুরোধের কথাই মনে করিয়ে দিয়ে বলেছে, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট চিকিৎসকদের বলেছিল, ‘আমাদের উপর আস্থা রাখুন। বিচার এবং ঔষধ বন্ধ হওয়া উচিত নয়।’ শীর্ষ আদালতের দেওয়া সেই কথাকে সাধারণ নাগরিক হিসাবেই মান্য করা উচিত চিকিৎসক সম্প্রদায়ের।’’

আইএমএ বলেছে, ‘‘রোগীদের যত্ন এবং তাঁদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করাই চিকিৎসকদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই চিকিৎসকদের উচিত রোগী সেবার কাজে আবার ফিরে আসা। বিচারের জন্য তারা বরং দেশের শীর্ষ আদালতের উপরেই ভরসা রাখুন।’’

আরও পড়ুন
Advertisement