Health Tips

পুজোয় সুস্থ থাকুন, প্রচুর ঘোরাঘুরি করে, ভালমন্দ খেয়েও শরীর ঠিক রাখার উপায় জেনে নিন

মরসুম বদলের এই সময়ে ঠান্ডা-গরম লেগেও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। তাই সব সামলেই শরীর ঠিক রাখতে হবে। পুজোর ক’টা দিন যত খুশি আনন্দ করুন, কিন্তু শরীর সুস্থ রাখার উপায়ও জেনে রাখুন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:১৮
How to stay fit and healthy during this festive season

পুজোয় দেদার পেটপুজো চলবে, শরীর ঠিক রাখবেন কী ভাবে? প্রতীকী ছবি।

পুজো মানেই হই-হুল্লোড়। খাওয়াদাওয়ার নিয়মবিধি শিকেয় তুলে ভূরিভোজ হবেই। সে বাড়িতে চর্ব-চোষ্য খাওয়া হোক বা রেস্তরাঁয়— পেটপুজো ছাড়া বাঙালির উৎসব ঠিক জমে না। সেই সঙ্গে প্রচুর ঘোরাঘুরিও হবে। অনেকেই হেঁটে ঠাকুর দেখার পরিকল্পনা করেছেন। সে ক্ষেত্রে পায়ে ব্যথাও হবে। এখন আবার ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি, ভাইরাল জ্বর হচ্ছে। মরসুম বদলের এই সময়ে ঠান্ডা-গরম লেগেও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। তাই সব সামলেই শরীর ঠিক রাখতে হবে। পুজোর ক’টা দিন যত খুশি আনন্দ করুন, কিন্তু শরীর সুস্থ রাখার উপায়ও জেনে রাখুন।

Advertisement

ভিড়ে গেলে মাস্ক পরুন

প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরতে হলে ভিড় ঠেলতেই হবে। জ্বর, সর্দির সংক্রমণে ভয় পেয়ে ঠাকুর দেখা বন্ধ করার প্রয়োজন নেই। মেডিসিনের চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদার বলছেন, “ভিড় বা বেশি জমায়েত যেখানে, সেখানে গেলে মাস্ক পরে নিন। অনেকেই পুজোর সাজ মাটি হবে বলে মাস্ক পরতে চান না। কিন্তু সংক্রমণ এড়াতে গেলে এইটুকু সাবধান হতেই হবে। বাড়ির খুদে সদস্যটিকে নিয়ে যদি ঠাকুর দেখতে বেরোন, তা হলে অবশ্যই মাস্ক পরাবেন। বয়স্কদের ক্ষেত্রেও তাই।”

রাস্তার খাবার বুঝে খান

চিকিৎসকের পরামর্শ, রাস্তা থেকে জল, শরবত, নরম পানীয় কিনে খাবেন না। এই সময়টাতে ডায়রিয়া, আন্ত্রিক বেশি ছড়ায়। তাই সতর্ক থাকতেই হবে। হোটেল-রেস্তরাঁর খাবার সব সময়ে স্বাস্থ্যসম্মত না-ও হতে পারে। তাই বুঝে খাবেন। শিশুকে নিয়ে বেরোলে ভুলেও রাস্তার খাবার কিনে দেবেন না। আইসক্রিম তো নয়ই।

রোজ হালকা শরীরচর্চা জরুরি

পুজোর সময় নিয়ম করে ব্যায়াম বা জিমে যাওয়া হয় না। তাই বাড়িতেই হালকা শরীরচর্চা করুন। প্রতি দিন ঘোরাঘুরির পরিকল্পনা থাকলে স্ট্রেচিং, কিছু ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম নিয়মিত করুন। বাড়িতেই করুন স্পট জগিং, তাতেও পায়ের জোর বাড়বে। প্রাণায়াম, শ্বাসের ব্যায়াম করলেও তরতাজা থাকবেন।

জল খান পর্যাপ্ত

শরীর আর্দ্র রাখতেই হবে। এই সময়ে খাওয়াদাওয়ায় নিয়ম থাকবে না তেমন, তাই জল খেতে হবে পর্যাপ্ত। জল কম খেলে এক দিকে যেমন হজম ঠিকমতো হবে না, তেমনই পেশির ক্লান্তি বাড়বে। অল্প হেঁটেই ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। দিনে অন্তত ৩ লিটার জল খেতেই হবে।

সম্ভব হলে রোজ ডিটক্স পানীয় খান। এতে শরীরের টক্সিন বা দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যাবে। সকালে খালি পেটে মৌরী-মেথি ভেজানো জল অথবা বিভিন্ন রকম ফল টুকরো করে তা সারা রাত জলে ভিজিয়ে রেখে সেই জল খেতে পারেন। এই পানীয় রোজ খেলে ত্বকের জেল্লাও বাড়বে।

আরও পড়ুন
Advertisement