National Task Force

চিকিৎসকদের সুরক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় আইনের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের গড়া টাস্ক ফোর্সকে চিঠি আইএমএ-এর

আরজি করের মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল গোটা দেশ। আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়তেই স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত দেশের সমস্ত হাসপাতালে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৪৮
IMA again demands central law on violence against doctors, hospitals

সুপ্রিম কোর্টের গড়া টাস্ক ফোর্সকে চিঠি আইএএমের। — ফাইল চিত্র।

চিকিৎসক এবং হাসপাতালে হিংসার ঘটনায় আবারও কেন্দ্রীয় আইন কার্যকরের দাবি তুলল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। সুপ্রিম কোর্টের গড়ে দেওয়া ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্সের (এনটিএ) কাছে চিঠি লিখে তিন দফা দাবি জানায় তারা।

Advertisement

আরজি করের মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল গোটা দেশ। আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়তেই স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ দেশের সমস্ত হাসপাতালে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। তাতে ন’জন করে সদস্য থাকবেন।

আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে প্রথম থেকেই সরব আইএমএ। চিকিৎসক খুনের ঘটনায় বিচারের দাবি তুলেছে তারা। পাশাপাশি চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবিতেও অনড় চিকিৎসক সংগঠনটি। কেন্দ্রীয় আইন চালু করার দাবি তোলে তারা। এ বার দেশের শীর্ষ আদালতের গড়ে দেওয়ার টাস্ক ফোর্সের কাছে সেই দাবি জানিয়ে চিঠি দিল আইএমএ। কেন্দ্রীয় আইন বলবৎ করার দাবি ছাড়াও হাসপাতালগুলিকে ‘নিরাপদ জ়োন’ ঘোষণার কথাও চিঠিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি আবাসিক চিকিৎসকদের কাজের পরিস্থিতি উন্নত করার দাবিও জানিয়েছে আইএমএ।

উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, টাস্ক ফোর্স মূলত দু’টি বিষয়ে কাজ করবে। এক, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের উপর হিংসা এবং লিঙ্গগত বৈষম্য দূর করা। দুই, হাসপাতালের চিকিৎসক, ইন্টার্ন, আবাসিক চিকিৎসকদের নিরাপদ কাজের পরিবেশ তৈরি করার জন্য একটি প্রোটোকল বা নিয়মবিধি তৈরি করা। সুপ্রিম কোর্ট টাস্ক ফোর্সকে তিন সপ্তাহের মধ্যে অন্তর্বর্তী রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে ৬০ দিনের মধ্যে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement