Kedarnath Temple

কেদারনাথ মন্দিরের গর্ভগৃহের দেওয়ালে সোনা না পিতল? তদন্তে গঠন করা হচ্ছে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি

মন্দির কমিটির দাবি, কেদারনাথের গর্ভগৃহে ২৩,৭৭৭.৮০০ গ্রাম সোনা লাগানো হয়েছিল। যার বর্তমান মূল্য ১৪ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা। আর এই কাজে জুড়ে থাকা তামার প্লেটের ওজন প্রায় এক হাজার কেজি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
দেহরাদূন শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২৩ ১১:২৪
kedarnath

কেদারনাথ মন্দির (বাঁ দিকে)। গর্ভগৃহের দেওয়ালে সোনার চাদর। যা নিয়েই চলছে বিতর্ক। ছবি: সংগৃহীত।

উত্তরাখণ্ডে কেদারনাথ মন্দিরের গর্ভগৃহের দেওয়াল সোনা দিয়ে মোড়ানো হয়েছে, না কি পিতল, এ বার সেই সত্য উদ্ঘাটনে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করছে উত্তরাখণ্ড সরকার।

রাজ্যের পর্যটন এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী সতপাল মহারাজ শুক্রবার জানিয়েছেন, সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব হরিচন্দ্র সেমওয়ালকে এই বিষয়টি তদন্তের জন্য উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। গঢ়বালের কমিশনারের নেতৃত্বে ওই কমিটি তদন্ত করবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।

Advertisement

যে কমিটি গঠন করা হবে তাতে যেন বিশেষজ্ঞ ছাড়াও স্বর্ণকারদের রাখা হয়। এমন নির্দেশও দিয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “কেদারনাথ মন্দিরের এই বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। কেউ যদি দোষী সাব্যস্ত হন, তাঁর বা তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।” মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, শ্রী বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দির কমিটি (বিকেটিসি) আইন, ১৯৩৯ অনুযায়ী, দান গ্রহণ করা হয়েছিল এবং মন্দিরের দেওয়ালে সোনার পাত লাগানোর জন্য সেই দানের বিষয়টি রাজ্য সরকার অনুমোদন করেছিল। তার পরই ভারতের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে সেই সোনার পাত লাগানো হয়।

মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, কেদারনাথ মন্দিরের গর্ভগৃহকে সোনার চাদরে মুড়ে দেওয়ার কাজ গত বছর এক ভক্তের সহযোগিতায় করা হয়েছিল। সেই কাজের শেষে বিল এবং এই কাজ সংক্রান্ত নথিপত্র মন্দির কমিটিকে জমা দিয়েছিলেন ওই ভক্ত। বিকেটিসি তখন জানিয়েছিল, কেদারনাথের গর্ভগৃহে ২৩,৭৭৭.৮০০ গ্রাম সোনা লাগানো হয়েছিল। যার বর্তমান মূল্য ১৪ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা। আর এই কাজে জুড়ে থাকা তামার প্লেটের ওজন প্রায় এক হাজার কিলোগ্রাম। যার দাম ২৯ লক্ষ টাকা। এই সংস্কার কাজে মোট খরচ হয়েছিল ১২৫ কোটি টাকা।

কিন্তু এর পরই বিতর্ক শুরু হয়। অভিযোগ ওঠে, মন্দিরের গর্ভগৃহে লাগানো যে ধাতুকে সোনা বলে দাবি করা হচ্ছে, সেগুলি নাকি আদৌ সোনা নয়, পিতল! চারধাম মহাপঞ্চায়েতের সহ-সভাপতি ও কেদারনাথের বর্ষীয়ান তীর্থপুরোহিত আচার্য সন্তোষ ত্রিবেদী অভিযোগ করেন, কেদারনাথের গর্ভগৃহে লাগানো সোনা বদলে গিয়েছে পিতলে! এই অভিযোগ ওঠার পরই বিষয়টি নিয়ে হুলস্থুল পড়ে যায়। সেই বিতর্ক এখনও চলছে। অভিযোগ উঠেছে আর্থিক কেলেঙ্কারিরও।

যদিও রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী সতপালের দাবি, বিরোধী দলগুলি চারধাম যাত্রা ভঙ্গ করতেই এই ধরনের অভিযোগ তুলছে। তবে অভিযোগ যখন উঠেছে, মন্দিরের ওই ধাতু সোনা না পিতল তা পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তদন্ত করা হবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।

আরও পড়ুন
Advertisement