নৌকাবিহারে হেমন্ত সোরেন। সঙ্গে তাঁর দলের বিধায়করা। ফাইল ছবি
সঙ্কট নেই বোঝাতেই গত কাল শাসক জোটের বিধায়কদের নিয়ে নৌকাবিহার সেরেছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। সেই নৌকাবিহারকে আজ নিশানা করল বিরোধী দল বিজেপি। রাজ্যের বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মারান্ডির খোঁচা, প্রশাসনিক কাজকর্ম শিকেয় তুলে মুখ্যমন্ত্রী ‘পিকনিকে’ ব্যস্ত। অবিলম্বে হেমন্তের পদত্যাগ দাবি করেছেন আর এক বিজেপি নেতা ভানুপ্রতাপ শাহি।
অফিস অব প্রফিট-এর অভিযোগে বিদ্ধ হেমন্তের মুখ্যমন্ত্রিত্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে রাঁচীর রাজনৈতিক উত্তাপ ক্রমশ বাড়ছে। গত কাল জোটসঙ্গী বিধায়কদের নিয়ে তাঁর নৌকাবিহারকেও নিশানা করতে ছাড়ছেন না বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, কুর্সি বাঁচাতে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক কাজকর্মও আর দেখছেন না। গত কাল দুমকায় এক মহিলার গায়ে আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ওই মহিলার দগ্ধ ছবি এবং হেমন্তদের লাতরাতু বাঁধের জলে ভ্রমণের ছবি পোস্ট টুইট করেন বাবুলাল। তিনি লেখেন, ‘এই দু’টি ছবি একই দিনের… ক্ষমতাসীনদের আপনার দিকে তাকানোর সময় নেই। হে কন্যা, যদি সম্ভব হয়, তা হলে এদের ক্ষমা করো’।
সম্প্রতি হেমন্ত নিজের টুইটার হ্যান্ডলে লিখেছিলেন, ‘সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে কেনা যায়। কিন্তু এক জন সাধারণ মানুষের সমর্থন কী ভাবে কিনবেন’? তাঁর ওই বক্তব্যকে আক্রমণ করেছে বিজেপি। দলের নেতা ভানুপ্রতাপের পাল্টা, ‘‘কোন পরিস্থিতিতে খনির লিজ নিজের নামে নিলেন তা কি সোরনে স্পষ্ট করবেন? এটা কি সংবিধান অনুমোদন করে?’’ এখানেই থেমে থাকেননি এই বিজেপি নেতা। তাঁর দাবি, ‘‘মুখ্যমন্ত্রিত্ব ত্যাগের জন্য নির্দেশের অপেক্ষা না করে, হেমন্ত সোরেনের উচিত আগেই পদ ছেড়ে দেওয়া।’’
হেমন্তের বিরুদ্ধে অফিস অব প্রফিটের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। গত ২৫ অগস্ট কমিশন সে সংক্রান্ত রিপোর্ট রাজভবনে পাঠিয়ে দিয়েছে। রাজভবনের একটি সূত্রের দাবি, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর বিধায়ক পদ খারিজের সুপারিশ করেছে কমিশন। ওই সূত্রটির দাবিটি কত দূত ঠিক তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি।
এই পরিস্থিতিতে গত কাল দলের বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা এআইসিসি-র তরফে ঝাড়খণ্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত অবিনাশ পাণ্ডে। সেখানে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং দল কোন কৌশল নেবে তা নিয়ে আলোচনা হয়।