জেলাশাসক সামনে বসে। প্রধান শিক্ষিকাকে বোর্ডে অঙ্ক কষতে দিয়েছেন তিনি।
স্কুলে পড়াশোনা কেমন হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখতে হঠাৎই হাজির হয়েছিলেন জেলাশাসক। তাঁর আচমকা পরিদর্শনে ‘ভূত’ দেখার মতো চমকে উঠেছিলেন শিক্ষকরা। জেলাশাসক একটি শ্রেণিকক্ষে যান। কচিকাঁচা পড়ুয়াদের একটি অঙ্ক দিয়ে তা সমাধান করতে বলেন।
কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে, কোনও পড়ুয়াই সেই সরল অঙ্কের সমাধান করতে পারেনি। বেশ অবাকই হয়েছিলেন জেলাশাসক। এর পরই তিনি ডেকে পাঠান প্রধানশিক্ষিকাকে। বোর্ডে লিখে তাঁর দেওয়া সেই অঙ্ক সমাধান করতে বলেন। আশ্চর্য হওয়ার আরও বাকি ছিল এখানেই। ঘটনাচক্রে, প্রধানশিক্ষিকাও সেই অঙ্কের সমাধান করতে পারেননি।
এই ঘটনা দেখার পর জেলাশাসক শিক্ষিকাকে ভর্ৎসনা তো করেনই, সেই সঙ্গে তাঁকে প্রধানশিক্ষিকার পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের বালাঘাটের একটি সরকারি প্রাথমিক স্কুলের।
বালাঘাটের জেলাশাসক গিরীশকুমার মিশ্র জেলারই একটি প্রাথমিক স্কুলে হঠাৎ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। পড়ুয়ারা কতটা শিখেছে তা জানার জন্য স্কুলের একটি শ্রেণিকক্ষে ঢোকেন। ৪৪১-কে ৪ দিয়ে ভাগ করতে দেন পড়ুয়াদের। কিন্তু কেউ না পারায়, জেলাশাসক প্রধানশিক্ষিকা সোনা দুর্ভেকে ডেকে পাঠান। তাঁকেও একই অঙ্ক দিয়ে সমাধান করতে বলেন। কিন্তু তিনিও সেই সরল অঙ্কের সমাধান করতে ব্যর্থ হন। শিক্ষিকার এই অবস্থা দেখে চটে যান জেলাশাসক। তার পরই শিক্ষিকাকে তাঁর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।