Hathras Rape

হাথরসকাণ্ডে তিন অভিযুক্ত বেকসুর খালাস, দোষী এক, রায়ে ‘অখুশি’ পরিবার যাচ্ছে উচ্চ আদালতে

২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মাসে উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ১৯ বছরের দলিত তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত হয়েছিলেন চার উচ্চবর্ণের যুবক।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২৩ ১৫:০৩
image of Hathras rape

বৃহস্পতিবার জেলার এক তফসিলি জাতি, উপজাতি আদালত এক অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করল। — ফাইল ছবি।

হাথরসকাণ্ডে চার অভিযুক্তের মধ্যে তিন জনই বেকসুর খালাস পেলেন। বৃহস্পতিবার জেলার এক তফসিলি জাতি, উপজাতি আদালত এক অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করল। তাঁর সাজা এখনও ঘোষণা করা হয়নি। আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবে বলে জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার।

বৃহস্পতিবার ২০ বছরের সন্দীপ, বছর পঁয়ত্রিশের রবি, তেইশ বছরের লব কুশ এবং ছাব্বিশ বছরের রামুকে আদালতে হাজির করানো হয়। আদালত রামু, লব কুশ, রবিকে বেকসুর খালাস করেছে। মূল অভিযুক্ত সন্দীপকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় (অপরাধমূলক হত্যা) দোষী সাব্যস্ত করেছে। তফসিলি জাতি, উপজাতি আইনেও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। সন্দীপের সাজার শুনানি হবে হাথরস জেলা আদালতে।

Advertisement

২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মাসে উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ১৯ বছরের দলিত তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত হয়েছিলেন চার উচ্চবর্ণের যুবক। ১৫ দিন পর দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল তরুণীর। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গিয়েছিল, তরুণী ধর্ষণে বাধা দিলে তাঁর গলা টিপে খুনের চেষ্টা করেছিলেন চার অভিযুক্ত। যন্ত্রণায় নিজের জিভেই কামড় বসিয়েছিলেন নির্যাতিতা। জিভে গুরুতর ক্ষত তৈরি হয়েছিল।

এই গোটা ঘটনায় আঙুল উঠেছিল উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার এবং পুলিশের দিকে। পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের অনুমতি ছাড়াই ধর্ষিত তরুণীর দেহ হাসপাতাল থেকে বার করে এনেছিল পুলিশ। তার পর মাঝরাতে দাহ করেছিল ক্ষেতে। সেখানে পরিবারের কেউ উপস্থিত ছিলেন না বলে অভিযোগ ওঠে।

আরও পড়ুন
Advertisement