Stubble Burning

কৃষিজমিতে পুড়ছে ফসলের গোড়া, দূষণ ঠেকাতে গিয়ে চাষিদের হাতে ‘বন্দি’ সরকারি আধিকারিকেরা!

বায়ুদূষণ ঠেকাতে হরিয়ানা সরকার বেশ কিছু দিন আগেই কৃষিজমিতে নাড়া (ফসলের গোড়া) এবং খড়বিচালি পোড়ানো নিষিদ্ধ করেছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
চণ্ডীগড় শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:০০

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

অভিযোগটা কয়েক দশকের পুরনো। হরিয়ানা এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কৃষিজমিতে নাড়া (ফসলের গোড়া) আর খড়বিচালি পোড়ানোর কারণে দিল্লিতে দূষণ ছড়ানোর সেই চেনা ‘ছবি’ বদলাতে গিয়ে এ বার তৈরি হল নতুন সমস্যা।

Advertisement

হরিয়ানার আম্বালায় কৃষিজমিতে নাড়া পোড়ানোর অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন তিন সরকারি আধিকারিক। অভিযোগ, স্থানীয় কৃষকদের একাংশ বৃহস্পতিবার বিকেলে জোর করে তাঁদের আটক করেন। শেষ পর্যন্ত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টার টানাপড়েনের পরে মুক্তি পান হরিয়ানা সরকারের ওই তিন আধিকারিক।

স্থানীয় সূত্রের খবর, আম্বালার কোট কচুয়া গ্রামের কৃষিজমিতে নাড়া পোড়ানোর অভিযোগের তদন্তে হরিয়ানা সরকারের স্থানীয় পাটোয়ারি (ভূমি দফতরের আধিকারিক), গ্রাম উন্নয়ন আধিকারিক এবং কৃষি বিভাগের আধিকারিক গিয়েছিলেন। পুলিশ সূত্রের খবর, উপগ্রহচিত্র যাচাই করে বেআইনি ভাবে কৃষিজমিতে নাড়া পোড়ানোর ঘটনা সম্পর্কে নিঃসংশয় হয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু গ্রামে ঢোকামাত্রই উত্তেজিত কৃষকেরা তাঁদের ঘেরাও করেন।

বায়ুদূষণ ঠেকাতে হরিয়ানা সরকার বেশ কিছু দিন আগেই কৃষিজমিতে নাড়া এবং খড়বিচালি পোড়ানো নিষিদ্ধ করেছে। পরিবর্তে নাড়া এবং খড়বিচালিকে কুচিয়ে কেটে জৈব সার তৈরির বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বনের জন্য কৃষকদের প্রশিক্ষণ এবং আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আন্দোলনকারী কৃষকদের দাবি, নাড়া এবং খড়বিচালি কাটার যন্ত্র বিনামূল্যে দিতে হবে সরকারকে।

আরও পড়ুন
Advertisement