Bose-Einstein Statistics

কোয়ান্টাম সায়েন্স ও বাংলা ভাষা, বসু সংখ্যায়নের ১০০ বছর উপলক্ষে বিশেষ উদ্যোগ

মাতৃভাষায় বিজ্ঞানচর্চার উপর বিশেষ ভাবে জোর দেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত অধ্যাপকেরা। অনুষ্ঠানের প্রশ্নোত্তর পর্বেও তাই বাংলা ভাষাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়।

Advertisement
স্বর্ণালী তালুকদার
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৪৭
BoseStat@100.

‘বোসস্ট্যাট @১০০’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্ট অতিথিরা। নিজস্ব চিত্র।

বিজ্ঞান এবং বাংলা ভাষা— একে অপরের সমার্থক হয়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল ১০০ বছরেরও আগে। সেই সম্ভাবনাই পরবর্তীকালে বিজ্ঞানের জগতকে সমৃদ্ধ করেছে বিভিন্ন তত্ত্ব আবিস্কারের হাত ধরে। সেই সবের মধ্যে ছিল পদার্থবিদ্যায় কোয়ান্টাম বলবিদ্যা এবং বসু সংখ্যায়ন তত্ত্বও। সম্প্রতি এই নিয়েই একটি জনসংযোগ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল সত্যেন্দ্রনাথ বোস ন্যাশনাল সেন্টার ফর বেসিক সায়েন্সেস (এসএনবিএনসিবিএস) এবং বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ। তাতে শামিল হন রাজ্যের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়া, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং গবেষকেরা।

Advertisement
BoseStat@100.

অনুষ্ঠানের প্রশ্নোত্তর পর্বে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। নিজস্ব চিত্র।

১৭ নভেম্বর কলকাতার একটি সরকারি প্রেক্ষাগৃহে ‘বোসস্ট্যাট @১০০’ শীর্ষক সেই অনুষ্ঠানে বাংলা ভাষায় কোয়ান্টাম সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। অনুষ্ঠানের বিশিষ্ট অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম জাহিদ হুসেন, সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজ়িক্সের প্রাক্তন আধিকারিক তথা অধ্যাপক অত্রি মুখোপাধ্যায়, বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদের অধ্যাপক গৌতম গঙ্গোপাধ্যায় এবং এসএনবিএনসিবিএস-এর ডিরেক্টর তনুশ্রী সাহা দাশগুপ্ত।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত পড়ুয়া, গবেষক, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে এম জাহিদ হুসেন বাংলা ভাষায় কোয়ান্টাম স্ট্যাটিটিক্স, সিমেট্রি এবং বিশেষ করে টোপোলজির বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য ভাগ করে নেন। একই সঙ্গে তিনি এও জানান, ইলেক্ট্রনের উপাদান হিসাবে টোপোলজির ভূমিকা কী, কী ভাবে মানুষের মস্তিষ্কের সঙ্গে কোয়ান্টাম কম্পিউটারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে বুদ্ধিমত্তার উন্নতিসাধন করা সম্ভব। অধ্যাপক বলেন, ‘‘আমাদের বাস্তবধর্মী ভাবনার সীমাবদ্ধতা থাকলেও, স্বপ্ন সীমাহীন।’’

BoseStat@100.

(বাঁদিকে) এসএনবিএনসিবিএস-এর ডিরেক্টর তনুশ্রী সাহা দাশগুপ্ত এবং (ডানদিকে) প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম জাহিদ হুসেন। নিজস্ব চিত্র।

এসএনবিএনসিবিএস-এর ডিরেক্টর তনুশ্রী সাহা দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, বিজ্ঞানকে জনসাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে বাংলা ভাষাকে বিশেষ ভাবে ব্যবহারের চেষ্টা করেছিলেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু। তাঁরই দেখানো পথে বিভিন্ন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে। এই অনুষ্ঠানও মূলত ছাত্রছাত্রীদের কাছে কোয়ান্টাম টেকনোলজিকে আরও গ্রহণযোগ্য করে তুলতেই আয়োজন করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপুঞ্জ ২০২৫-কে কোয়ান্টাম সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির বছর হিসাবে চিহ্নিত করেছে, যার সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে রয়েছি আমরা। পড়ুয়াদের উৎসাহী করতে পারলে এই বিষয়টি আরও সমৃদ্ধ হবে, এমনটাই আশা।’’

আরও পড়ুন
Advertisement