হরিয়ানা সরকার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছে। ফাইল ছবি।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেশের নানা প্রান্তে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে ভাইরাসের আরও এক ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞেরা। সংক্রমণের সংখ্যায় বৃদ্ধি দেখে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক ঘোষণা করল হরিয়ানা সরকার। শনিবার একটি বিবৃতি জারি করে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে সেই রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই উদ্বেগে হরিয়ানা সরকার। ৩ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তারা একটি বৈঠক করেন। সেখানে করোনা ঠেকাতে কী কী পদক্ষেপ করা উচিত, কত দ্রুত এবং কতটা গুরুত্বের সঙ্গে ভাইরাস মোকাবিলায় হাত লাগানো প্রয়োজন, প্রভৃতি যাবতীয় বিষয়ে আলোচনা হয়। তার পরেই শনিবারের বিবৃতি জারি করা হল।
স্বাস্থ্য দফতরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হরিয়ানায় করোনা সংক্রমণ এবং আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ধারাবাহিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই ভাইরাসের আরও এক তরঙ্গ এলে পরিস্থিতি যাতে সামাল দেওয়া যায়, সে বিষয়ে আগেভাগেই সতর্ক হচ্ছে সরকার। সব রকম পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
হরিয়ানা সরকারের নির্দেশ, রাজ্যের সরকারি অফিস, শপিং মল-সহ যে যে জায়গায় ১০০-র বেশি মানুষের জমায়েত হওয়ার সম্ভাবনা, সেখানে মাস্ক পরতেই হবে। সকলকে বাধ্যতামূলক ভাবে এই নিয়ম মানতে বলেছে সরকার। এই নির্দেশ কার্যকর করার জন্য জেলা প্রশাসন এবং পঞ্চায়েত স্তরেও নির্দেশিকা পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার।
শুক্রবার হরিয়ানায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪০৭ জন। তার মধ্যে গুরুগ্রামে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। সেখানে এক দিনে ২০৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়া, হরিয়ানায় গত সপ্তাহে কোভিডে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। যা বিশেষজ্ঞদের চিন্তিত করেছে।