এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
হাসপাতালে মৃত্যু হল গুজরাতের ধর্ষিত নাবালিকার। ন’দিন ধরে বরোদার একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিল সে। সোমবার পর পর দু’বার হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়। অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যায়। সন্ধ্যা সওয়া ৬টা নাগাদ মৃত্যু হয় নাবালিকার।
গত ১৬ ডিসেম্বর গুজরাতের ভরুচে এক নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পর যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তারই বাবার সহকর্মীর বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে অঙ্কলেশ্বরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে ভরুচে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় বরোদার সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে সোমবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় তার।
হাসপাতালের চিকিৎসক হিতেন্দ্র চৌহান জানিয়েছেন, সোমবার দুপুর ২টো নাগাদ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয় নাবালিকা। ফলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা করা হয় তৎক্ষণাৎ। কিন্তু সওয়া ৫টা নাগাদ আবার হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয় সে। সন্ধ্যা সওয়া ৬টা নাগাদ মৃত্যু হয় তার। চিকিৎসক আরও জানিয়েছেন, নাবালিকার যৌনাঙ্গ, জরায়ু এবং বৃহদান্ত্র মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সংক্রমণ সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছিল। ফলে শরীরে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ এক এক করে বিকল হওয়া শুরু করে। তার পরই মৃত্যু হয় নাবালিকার।
অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁর পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।