Gujarat Bridge Collapse

মোরবীর সেই ভেঙে পড়া ঝুলন্ত সেতু দেখলেন মোদী, হাসপাতালে কথা বললেন আহতদের সঙ্গে

সোমবার রাতে উদ্ধারের কাজ বন্ধ করা হলেও প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে মঙ্গলবার সকালে তা ফের চালু করা হয়। সূত্রের খবর, এখনও অনেকের খোঁজ না মেলার কারণেই এই সিদ্ধান্ত।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২২ ১৭:৩৪
মোরবীর দুর্ঘটনাস্থলে মোদী।

মোরবীর দুর্ঘটনাস্থলে মোদী। ছবি: পিটিআই।

গুজরাতের মোরবীতে ভেঙে পড়া ঝুলন্ত সেতু পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারের কাজে যুক্ত এনডিআরএফ এবং সেনাদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। হাসপাতালে গিয়ে সেতু দুর্ঘটনায় আহতদের সঙ্গেও কথা বলেন।

সোমবার রাতে উদ্ধারের কাজ বন্ধ করা হলেও প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে মঙ্গলবার সকালে ফের মাচ্ছু নদীতে দেহের অনুসন্ধান শুরু হয়। সূত্রের খবর, এখনও অনেকের খোঁজ না মেলার কারণেই এই সিদ্ধান্ত। যদিও সরকারি ভাবে এখনও বলা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা ১৩৫। গান্ধীনগরের রাজভবনে মোরবী-কাণ্ড ও পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য মঙ্গলবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন মোদী।

Advertisement

গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল, সে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সিঙ্ঘভির পাশপাশি মুখ্য সচিব এবং পুলিশ প্রধান হাজির ছিলেন বৈঠকে। দুর্ঘটনায় মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বুধবার রাজ্য জুড়ে শোক দিবস পালনের কথা ঘোষণা করেছে গুজরাত সরকার। বিপর্যয়ের কারণ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ওই বৈঠকে উদ্ধারের কাজ এবং তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়েও আলোচনা হয়।

বিধানসভা ভোটের আগে সোমবার দিন ভর গুজরাতে একের পর এক প্রকল্পের ঘোষণা, শিলান্যাস এবং উদ্বোধন করেছিলেন মোদী। গুজরাতে হাজির থেকেও ঝুলন্ত সেতু-বিপর্যয়ের পর তাঁর মোরবীতে না যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধীরা। যদিও দুর্ঘটনায় মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সোমবার মোদী বলেছিলেন, ‘‘খুবই যন্ত্রণাদায়ক ঘটনা।’’ জীবনে এমন দুঃখ কমই পেয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রবিবার সন্ধ্যায় মোরবীতে মাচ্ছু নদীর উপর ঋুলন্ত সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা সরকারি ভাবে ১৩৫ বলা হলেও এখনও বেশ কিছু মানুষ নিখোঁজ। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সংস্কারের জন্য দীর্ঘ ৭ মাস সেতুটি বন্ধ ছিল। গত ২৬ অক্টোবর তা খোলা হয়। তার পরেই এই দুর্ঘটনা। ইতিমধ্যেই সেতু দুর্ঘটনা নিয়ে প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। খোলার আগে সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করিয়ে কোনও ‘ফিটনেস সার্টিফিকেট’ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।

অন্য দিকে, মোদীর সফরের আগেই তড়িঘড়ি মোরবীর হাসপাতালে সংস্কার এবং রঙের প্রলেপ দেওয়ার কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। কংগ্রেসের তরফে সেই সব ছবি টুইটারে পোস্ট করে অভিযোগ করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালে এলে গোটা দেশের সামনে যাতে সেখানকার বেহাল দশা প্রকাশ না হয়ে পড়ে, তাই রাতারাতি রং করা হচ্ছে দেওয়াল, মেঝেতে বসানো হচ্ছে টাইলস।

Advertisement
আরও পড়ুন