রেল লাইনেই প্রাণ গেল একই পরিবারের তিন জনের। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বাড়িতে রাগারাগির পরে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন ৪০ বছরের সুমিত সাইন। ট্রেনলাইনের উপর গিয়ে বসে পড়েন তিনি। তাঁকে বাঁচাতে গিয়েছিলেন কিশোরী কন্যা এবং দাদা। তখনই বাধল বিপত্তি। তিন জনই কাটা পড়লেন ট্রেনে। রাজস্থানের জগৎপুরা এলাকার ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত সুমিত রাজস্থানের খোহ্ নাগোরিয়ান থানার জয় অম্বে নগরের বাসিন্দা। রবিবার বাড়িতে ঝামেলার পরে জগৎপুরা এলাকায় ট্রেনলাইনে গিয়ে বসে পড়েন তিনি। সেখানে বসেই এক আত্মীয়কে ভিডিয়ো কল করে সুমিত জানান, আত্মহত্যা করতে চলেছেন তিনি। ওই আত্মীয় সুমিতের ১৫ বছরের মেয়ে নিশাকে খবর দেন। নিশা তাঁর জ্যাঠা গণেশ সাইনকে নিয়ে বাবার কাছে উপস্থিত হন। গণেশের বয়স ৪৪ বছর। গণেশ এবং নিশা এর পরে সুমিতকে জোরাজুরি করতে থাকেন। হাত ধরে টেনে তোলারও চেষ্টা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সে সময় হরিদ্বার মেল চলে আসে ঘটনাস্থলে। কাটা পড়েন তিন জনই। ট্রেনের চালক রেলের কন্ট্রোল রুমে খবর দেন। রেলের তরফে থানায়ও খবর দেওয়া হয়। তিন জনের দেহ জয়পুরিয়া হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।