Rape in Kanpur

বাড়িতে আটকে রেখে এক বছর ধরে কিশোরীকে ধর্ষণ! অভিযোগ উঠল বাবা, কাকা ও দাদুর বিরুদ্ধে

কানপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অলোক মিশ্র জানিয়েছেন, প্রায় এক বছর ধরে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার বাবা, কাকা এবং দাদুর বিরুদ্ধে। তিনি জানিয়েছেন, কিশোরী দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:৩৮
এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। প্রতীকী ছবি।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। প্রতীকী ছবি।

কিশোরীকে বাড়িতে আটকে রেখে এক বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বাবা, কাকা এবং দাদুর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি কানপুরের অরাইয়ার। কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে তিন জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

কানপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অলোক মিশ্র জানিয়েছেন, প্রায় এক বছর ধরে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তারই বাবা, কাকা এবং দাদুর বিরুদ্ধে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, কিশোরী দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা। নির্যাতিতা পুলিশকে জানিয়েছে, বছর দশেক আগে বাবার সঙ্গে ঝামেলার সঙ্গে তার মা দিল্লিতে চলে যান। সঙ্গে তাকেও নিয়ে গিয়েছিলেন। চার বছর আগে দিল্লি থেকে তাকে আবার কানপুরে নিয়ে আসে বাবা। গত বছর মায়ের মৃত্যু হয়। তার পর থেকেই কিশোরীর উপর অত্যাচার শুরু হয় বলে অভিযোগ।

নির্যাতিতা পুলিশকে আরও জানিয়েছে, তাকে প্রায়ই মারধর করতেন বাবা। তার পর চলত শারীরিক নির্যাতন। সেই কাজে বাবাকে সহযোগিতা করতেন তার কাকা এবং দাদু। এ ভাবে কয়েক মাস ধরে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। বাধা দিতে গেলে তিন জনই তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিতেন। সম্প্রতি বিষয়টি কাকিমাকে জানায় কিশোরী। কিন্তু কাকিমা তার অভিযোগ কানে তোলেননি বলে দাবি। শেষে মাসির কাছে বিষয়টি জানায় সে। তাঁরই সহযোগিতায় পুলিশের কাছে পৌঁছয় কিশোরী। বাবা, কাকা এবং দাদুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে। তার অভিযোগ পেয়েই তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, কিশোরীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে সে দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

Advertisement
আরও পড়ুন