Bihar

সাত বছরের শিশুকে স্কুলের শৌচালয়ে ধর্ষণ মত্তের, বাধা দিতে গেলে ধর্ষণের চেষ্টা বন্ধুকেও

অভিযোগ, সাত বছরের শিশুটিকে ধর্ষণের পর তাঁর সঙ্গীকেও ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন মত্ত ব্যক্তি। সেই চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় কিশোরীর গালে কামড়ে দেন।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
পটনা শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৩ ১১:১৭
girl allegedly raped

ধর্ষণের পর শিশুটিকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয় ঝোপে। প্রতীকী ছবি।

হোলির দিন দুই বন্ধু মিলে দোকান থেকে বাড়িতে ফিরছিল। এক জনের বয়স সাত, অন্য জনের নয়। বাড়ি ফেরার পথে একটি স্কুলে ঢুকেছিল তারা। স্কুলের ভিতরে দোলনা ছিল। তাতেই দু’জনে দোল খাচ্ছিল। হোলির কারণে স্কুলও বন্ধ ছিল। দুই শিশুকে ফাঁকা স্কুলে দোল খেতে দেখে এক মত্ত সেখানে ঢুকে পড়েন।

অভিযোগ, এর পরই সাত বছরের শিশুটিকে জোর করে তুলে নিয়ে যান স্কুলের শৌচালয়ে। তাকে ধর্ষণ করেন। বন্ধুর উপর হওয়া শারীরিক নির্যাতন দেখে মত্ত ব্যক্তিকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে বছর নয়েকের মেয়েটি। অভিযোগ, সাত বছরের শিশুটিকে ধর্ষণের পর তাঁর সঙ্গীকেও ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন মত্ত ব্যক্তি। সেই চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় কিশোরীর গালে কামড়ে দেন। তাকে মারধর করেন। এর পরই সাত বছরের শিশুটিকে তুলে নিয়ে গিয়ে স্কুলের কাছেই একটি ঝোপে ফেলে দিয়ে চম্পট দেন।

Advertisement

মত্ত ব্যক্তি চলে যাওয়ার পর বছর নয়েকের মেয়েটি স্থানীয় লোকজনকে ডেকে ঘটনাটি বলে। তারা এসে শিশুটিকে ঝোপ থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন। এর পরই দুই শিশুর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার পরই শিশুদের পরিবার ধর্ষণ‌ের অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগ পেয়েই অভিযুক্ত ব্যক্তির খোঁজ শুরু করে পুলিশ। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বেগুসরাইয়ে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম ছোটু। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement