প্রতীকী ছবি।
নিম্নগামী হওয়ার পূর্বাভাস মিলেছিল আগেই। কিন্তু ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) জিডিপি (মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন)-র অধোগতি যে নজির গড়বে, তার আঁচ দিতে পারেনি কোনও সমীক্ষা সংস্থা।
শুক্রবার ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্যাল অফিস (এনএসও) প্রকাশিত তথ্য বলছে, জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে ভারতে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৫.৪ শতাংশ। গত আড়াই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। গত অর্থবর্ষের (২০২৩-২৪) একই ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার ছিল ৮.১ শতাংশ। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে (এপ্রিল-জুন) জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৬.৭ শতাংশ।
এর আগে অতিমারি-পরবর্তী পর্যায়ে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৪.৩ শতাংশ। প্রসঙ্গত, গত অর্থবর্ষের প্রথম তিনটি ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপি বেড়েছিল ৮ শতাংশের বেশি। শেষটিতে ছিল ৮ শতাংশের কাছাকাছি। তার পরেই চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে, অর্থাৎ গত এপ্রিল-মে-জুনে বৃদ্ধির হার নেমে আসে ৬.৭ শতাংশে। এ বার তা আরও নিম্নগামী হল।
তবে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে চিনের জিডিপি বৃদ্ধি ৪.৬ শতাংশ হওয়ায় ভারতই রয়ে গেল আন্তর্জাতিক লেখচিত্রে পয়লা নম্বরে। যদিও ভারতের তুলনায় চিনের অর্থনীতির কলেবর অনেক বড়। ফলে বৃদ্ধির হারের শতাংশের হিসাবে সামগ্রিক ভাবে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মূল্যায়ন সম্ভব নয়।
চলতি মাসের গোড়ায় সমীক্ষা রিপোর্টে মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রা পূর্বাভাস দিয়েছিল, জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার নামতে পারে ৬.৫ শতাংশে। আশঙ্কা যে অমূলক নয়, সেটা স্পষ্ট করেছিলেন কেন্দ্রীয় আর্থিক বিষয়ক সচিব অজয় শেঠ। কিন্তু প্রকৃত পরিস্থিতি যে আরও খারাপ, তা স্পষ্ট হল শুক্রবার। উৎপাদন, কৃষি এবং পরিষেবা ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত বৃদ্ধি না-হওয়া, প্রত্যাশামাফিক লগ্নি না-আসায় জিডিপির বৃদ্ধি থমকে গিয়েছে বলে রিপোর্টে ইঙ্গিত।