Rajasthan

ছেলেমেয়েকে সাব ইনস্পেক্টর হওয়ার পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এনে দিয়েছিলেন বাবা! যিনি নিজে সরকারের প্রাক্তন কর্মচারী

রাজস্থানে সাব ইনস্পেক্টর হওয়ার পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে দিন কয়েক আগেই। তবে বিষয়টি যখন প্রকাশ্যে আসে ততদিনে পরীক্ষার্থীরা পাস করে প্রশিক্ষণও নিতে শুরু করেছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৩৭

—প্রতীকী চিত্র।

সরকারি পরীক্ষার ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র বাবা নিজেই তুলে দিয়েছিলেন পরীক্ষার্থী দুই পুত্র-কন্যার হাতে। যিনি নিজে একজন প্রাক্তন সরকারি কর্মচারী। শুধু তা-ই নয়, তিনি সরকারি নিয়োগের পরীক্ষার পর্ষদেরই এক জন আধিকারিক ছিলেন। রাজস্থানের সাব ইনস্পেক্টর হওয়ার পরীক্ষায় দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার পরে পুলিশ ওই প্রাক্তন সরকারি আধিকারিককে গ্রেফতার করেছে। এই নিয়ে রাজস্থানে সাব ইনস্পেক্টরের পরীক্ষার দুর্নীতি মামলায় ৬৩ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

Advertisement

রাজস্থানে সাব ইনস্পেক্টর হওয়ার পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে দিন কয়েক আগেই। তবে বিষয়টি যখন প্রকাশ্যে আসে ততদিনে পরীক্ষার্থীরা পাস করে প্রশিক্ষণও নিতে শুরু করেছেন। পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যে ৬৩ জনকে গ্রেফতার করে তার মধ্যে ৩৭ জনই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বাছাই পর্বেও উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছেন। এঁদের মধ্যে আবার ৩৩ জন প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করে দিয়েছিলেন। তবে সম্প্রতি পুলিশ এই মামলায় গ্রেফতার করেছে রাজস্থানের পাবলিক সার্ভিস কমিশনের একজন আধিকারিককেও। নাম রামুরাম রাইকা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ওই ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র নিজের ছেলে মেয়েদের দিয়েছেন।

রাইকার কন্যা শোভা এবং পুত্র দেবেশ দু’জনেই সাব ইনস্পেক্টর হওয়ার পরীক্ষায় বসেছিলেন। শোভা ওই পরীক্ষায় পঞ্চম স্থান অধিকার করেন। দেবেশ ৪০ তম স্থান অধিকার করেন। দু’জনেই রাজস্থান পুলিশ অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেছিলেন। শনিবার তাঁদের দু’জন এবং আরও তিন শিক্ষানবিশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পরেই গ্রেফতার করা হয় রাইকাকেও। সোমবার তাদের পাশাপাশি রাইকাকেও আদালতে তোলা হয়। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের পুলিশ হেফাজতেই রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত করছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের চক্রের মাথাকে খোঁজার চেষ্টা করছে তারা।

আরও পড়ুন
Advertisement