অমরেন্দ্র সিংহ। ফাইল চিত্র।
এক মাস আগে কংগ্রেস ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। মঙ্গলবার পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ সেই ‘প্রতিশ্রুতি’ পালন করলেন। আনুষ্ঠানিক ভাবে কংগ্রেসের সদস্যপদ ছেড়ে নয়া দল ‘পঞ্জাব লোক কংগ্রেস’ গড়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি।
কংগ্রেসের সদস্যপদ ছাড়ার কথা জানিয়ে সনিয়া গাঁধীকে সাত পাতার চিঠিও পাঠিয়েছেন অমরেন্দ্র। তাতে জানিয়েছেন, কংগ্রেস সভানেত্রীর আচরণে তিনি ‘গভীর দুঃখ’ পেয়েছেন। রাহুল গাঁধী এবং প্রিয়ঙ্কা বঢরার ব্যবহার তাঁকে হতাশ করেছে বলেও অনুযোগ অমরেন্দ্রের। সেই সঙ্গে দল ছাড়ার প্রাকমুহূর্তে প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার কথাও মনে করিয়েছেন একদা পঞ্জাব কংগ্রেসের ‘ক্যাপ্টেন’।
চণ্ডীগড়ে দল ঘোষণার পর অমরেন্দ্র বলেন, ‘‘আমার আইনজীবীদের ‘টিম’ নির্বাচন কমিশনের কাছে নয়া দলের নথিভুক্তি এবং প্রতীক সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছে। শীঘ্রই দলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’’
আশির দশকে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে সেনা অভিযানের প্রতিবাদে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন পাটিয়ালার রাজ পরিবারের সন্তান তথা প্রাক্তন সেনা অফিসার অমরেন্দ্র। যোগ দিয়েছিলেন শিরোমণি অকালি দলে। তবে কয়েক বছর পরে ফের কংগ্রেসে ফিরেছিলেন তিনি। এ বার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজোৎ সিংহ সিধুর সঙ্গে মতবিরোধের জেরে মুখ্যমন্ত্রিত্ব হারাতে হয় অমরেন্দ্রকে।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে পঞ্জাবে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। শেষ পর্যন্ত অমরেন্দ্র দল ছাড়লে কংগ্রেস বড় ধাক্কা খেতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন। প্রসঙ্গত এর আগে অমরেন্দ্র জানিয়েছিলেন, বিধানসভা ভোটে বিজেপি-র সঙ্গে সমঝোতা করতে পারে তাঁর দল।