Vande Mataram

বন্দে মাতরম গাইতে হবে না! কর্নাটকে কংগ্রেসের সভায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য?

গত ২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত ওই সভায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমারও উপস্থিত ছিলেন বলে প্রকাশিত কয়েকটি খবরে দাবি করা হয়েছে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২২ ২০:৩৪
বন্দে মাতরম গাইতে নিষেধ করার অভিযোগ কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে।

বন্দে মাতরম গাইতে নিষেধ করার অভিযোগ কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে। ফাইল চিত্র।

কর্নাটকের কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এ বার ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সেই ‘মন্ত্র’ বন্দে মাতরমকে নিশানা করেছেন বলে অভিযোগ। সোমবার ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়োয় (আনন্দবাজার অনলাইন যার সত্যতা যাচাই করেনি) কর্নাটকের কংগ্রেস নেতাদের এক সভায় তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে— ‘‘বন্দে মাতরম গাইবেন না!’’ গত ২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবসে প্রদেশ কংগ্রেস পদাধিকারীদের এক সভায় তিনি দলীয় কর্মসূচিতে বন্দে মাতরম পরিহার করার নির্দেশ দেন বলেন অভিযোগ!

সংবিধান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ওই সভায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমারও উপস্থিত ছিলেন। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, সভা শুরুর সময় প্রদেশ কংগ্রেসের সেলিম আহমেদ উপস্থিত সকলকে বন্দে মাতরম গাওয়ার জন্য এগিয়ে আসতে বলছেন। সে সময় সিদ্দারামাইয়াকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘জাতীয় গান গাওয়ার প্রয়োজন নেই।’’ যদিও পরক্ষণেই মত পালটে তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা গাইতে চান, এগিয়ে যান। পরে আবার বলবেন না, সিদ্দারামাইয়া আমাদের বন্দে মাতরম গাইতে বারণ করেছেন।’’

Advertisement

ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে কন্নড় রাজনীতিতে। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বাসবরাজ বোম্মাই সোমবার বলেছেন, ‘‘সিদ্দারামাইয়া একজন জিহাদি মানসিকতা সম্পন্ন নেতা।’’ সিদ্দারামাইয়ার তরফে সোমবার বন্দে মাতরম বিতর্ক নিয়ে কোনও সাফাই শোনা যায়নি।

প্রসঙ্গত, ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি ছিল ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের সংবিধানসভার শেষ অধিবেশন। সভার শেষে সংবিধানসভার সভাপতি তথা কংগ্রেস নেতা (পরবর্তী কালে ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি) রাজেন্দ্রপ্রসাদ জানান, রবীন্দ্রনাথের জনগণমন হবে জাতীয় সঙ্গীত। আর স্বাধীনতা সংগ্রামে যে গান লোকের মুখে মুখে ফিরেছে, বঙ্কিমচন্দ্রের সেই বন্দে মাতরম পাবে সমান মর্যাদা। তার আগে নতুন রাষ্ট্রের সংবিধানের খসড়া নিয়ে বহু বিতর্ক আর ভোটাভুটি হলেও সভাপতির আবেদনকে মর্যাদা দিয়ে সে দিন আর বিতর্ক হয়নি। দু’টি গান গেয়েই শেষ হয়েছিল অধিবেশন। এ বার কর্নাটকে কংগ্রেসের অধিবেশনেই কি ব্রাত্য হবে বন্দে মাতরম?

আরও পড়ুন
Advertisement