বন্যার আশঙ্কায় ত্রস্ত বিহার। ফাইল চিত্র।
দু’টি বাঁধ থেকে জল ছাড়া হয়েছে। আর তার জেরেই বিহারের ১৩টি জেলায় বন্যার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, বাল্মীকিনগর এবং বীরপুর বাঁধ থেকে শনিবার জল ছাড়ার ফলে প্লাবনের আশঙ্কা আরও বেড়েছে। তার সঙ্গে গঙ্গা, গন্ডক এবং কোশী নদী কোথাও কোথাও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। নিচু এলাকাগুলিতে জল ঢুকতে শুরু করেছে।
জলসম্পদ দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, নেপালে গত কয়েক দিন ধরে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। সেখান থেকে জল নীচের দিকে নেমে আসায় গন্ডক, কোশী এবং মহানন্দার জলস্তর উত্তরোত্তর বাড়ছে। রাজ্য প্রশাসন আশঙ্কা করছে, ১৩ জেলা যদি প্লাবিত হয় তা হলে ১৭ লক্ষ মানুষ ক্ষতির মুখে পড়বেন। যদিও ভারী বৃষ্টির জেরে রাজ্যের বহু জেলা আগেই প্লাবিত হয়েছে। তবে গঙ্গা, কোশী, গন্ডকের জলস্তর বৃদ্ধি এবং দু’টি বাঁধ থেকে জল ছাড়ায় বন্যার সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, কোশী নদীর বীরপুর বাঁধ থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত জল ছাড়া হয়েছে ৫ লক্ষ ৭৯ হাজার কিউসেক। যা গত ৫৬ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। জলসম্পদ দফতরের প্রধান সচিব সন্তোষ কুমার মাল জানিয়েছেন, বাল্মীকিনগর বাঁধ থেকে ওই দিনই ৫ লক্ষ ৩৮ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। ফলে কোশী, গন্ডকের পাশাপাশি বাগমতী, বুড়ি গন্ডক, কমলা বালানেও জলস্তর বেড়েছে।
পূর্ব এবং পশ্চিম চম্পারণ, সীতামঢ়ী, শিওহর, মুজফফরপুর, গোপালগঞ্জ, সিওয়ান, সারণ, বৈশালী, পটনা, জেহানাবাদ, মধুবনী, ভোজপুর জেলায় আগামী কয়েক দিন ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই জেলাগুলিতে হড়পা বানেরও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।