Flash Flood in Balasore

‘ডেনা’র তাণ্ডবে লন্ডভন্ড ওড়িশার বালেশ্বরে ভারী বৃষ্টিতে হড়পা বান! জলমগ্ন ২০টি গ্রাম

স্থানীয় সূত্রে খবর, দু’দিন ধরে টানা বৃষ্টির জেরে হড়পা বানের সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তবে শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় জল নামতে শুরু করেছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:১৭
জলমগ্ন বালেশ্বরের একটি গ্রাম। ছবি: পিটিআই।

জলমগ্ন বালেশ্বরের একটি গ্রাম। ছবি: পিটিআই।

ঘূর্ণিঝড় ‘ডেনা’র তাণ্ডবে এমনিতেই লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে ওড়িশার বালেশ্বর। ‘ডেনা’ চলে গেলেও তার জেরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায়। তার মধ্যে বালেশ্বর অন্যতম। এই জেলায় এত পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে যে, হড়পা বানের সৃষ্টি হয়েছে। আর সেই হড়পা বানে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে জেলার ২০টি গ্রামে।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে খবর, ‘ডেনা’র জেরে দু’দিন ধরে বৃষ্টির কারণে বহু গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ময়ূরভঞ্জ জেলার সিমলিপাল পাহাড়ে ভারী বৃষ্টির জেরে সংলগ্ন বালেশ্বর জেলার বুধাবালাং, সোনো এবং কানসাবানসা নদীতে জলস্তর বিপজ্জনক ভাবে বেড়েছে। ফলে নদী সংলগ্ন গ্রামগুলি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। জেলার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্লকগুলির মধ্যে রয়েছে উপড়া, সোরো, খইরা, সিমুলিয়া, বাহানগা, রেমুনা এবং সদর।

স্থানীয় সূত্রে খবর, দু’দিন ধরে টানা বৃষ্টির জেরে হড়পা বানের সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তবে শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় গ্রামগুলি থেকে জল নামতে শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। রাজস্ব এবং বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী সুরেশ পূজারি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত রাজ্যের কোথাও বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। বুধাবালাঙ্গা নদীর জলস্তর বাড়লেও বিপদসীমার পেরিয়ে যায়নি। নদীর পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। দমকল সূত্রে খবর, রেমুনায় জলবন্দি ১০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে শনিবার। বালেশ্বরের জেলাশাসক সূর্যবংশী ময়ূর বিকাশ জানিয়েছেন, জেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরমাণ কত তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে। তবে খইরা, সিমুলিয়া, বাহানগা, সোরো, উফড়া ব্লকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement