Heavy Rain In Tamil Nadu

জলের তোড়়ে ভাঙল সিমেন্টের দেওয়াল, ঝুলছে রেললাইন, তামিলনাড়ুর স্টেশনে আটকে ৫০০ জন

সোমবার তামিলনাড়ুর শ্রীভাইকুন্তম স্টেশনে আটকে পড়েন ৫০০ জন। প্রবল বৃষ্টিতে ধস নামার কারণে স্টেশনের আগে এবং পরে অধিকাংশ জায়গাতেই রেললাইন লাগোয়া মাটি আলগা হয়ে যায়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:১৪
Five hundred passengers stuck as Tamil Nadu station flooded amid heavy rain

জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে রেললাইনের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত।

প্রবল বৃষ্টিতে ফের দুর্যোগের মুখে তামিলনাড়ু। এ বার সে রাজ্যের দক্ষিণের একটি জেলায় রেললাইনে জল উঠে গিয়ে আটকে পড়লেন ৫০০ জন যাত্রী। শুধু তাই নয়, যে স্টেশনে যাত্রীরা আটকে পড়েছেন, তার আগে-পরে বেশ কিছু জায়গায় জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে রেললাইনের নীচে থাকা সিমেন্টের দেওয়াল। ফলে কার্যত লোহার কাঠামো নিয়ে ঝুলছে রেললাইন।

Advertisement

সোমবার এই পরিস্থিতির জন্য তুতিকোরিন জেলার শ্রীভাইকুন্তম স্টেশনে আটকে পড়েন ৫০০ জন। প্রবল বৃষ্টিতে ধস নামার কারণে স্টেশনের আগে এবং পরে অধিকাংশ জায়গাতেই রেললাইন লাগোয়া মাটি আলগা হয়ে যায়। রেলপথের পাশাপাশি সড়কপথেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারকারী দল আটকে পড়া যাত্রীদের এখনও পর্যন্ত কাছে পৌঁছতে পারেনিচ। আপাতত তামিলনাড়ুর তিরুচেন্দুর থেকে চেন্নাই পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করছে।

তবে দক্ষিণ রেলের তরফে জানানো হয়েছে, আটকে পড়া যাত্রীরা প্রত্যেকেই সুরক্ষিত রয়েছেন। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যেরা তাঁদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন। প্রয়োজনে ওই যাত্রীদের আকাশপথে খাদ্য এবং পানীয় জল সরবরাহ করার কথা ভাবা হচ্ছে। তামিলনাড়ুর দক্ষিণ দিকের অধিকাংশ বাঁধ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই কারণেই এই পরিস্থিতি। রাজ্যে ভারী বর্ষণ এবং বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন আগামী ১৯ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সময় চেয়েছেন।

শনিবার ভোর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণের চার জেলা। সেগুলি হল তিরুনেলভেলি, তুতিকোরিন, তেনকাশি এবং কন্যাকুমারীতে। বৃষ্টিতে জেলাগুলির অধিকাংশ শহরে হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। সোমবার বৃষ্টি বিপর্যস্ত এলাকাগুলির স্কুল-কলেজে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। খারাপ আবহাওয়ার জেরে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে তুতিকোরিনমুখী সমস্ত বিমান। সেখান থেকে এক জনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গিয়েছে।

পরিসংখ্যান বলছে, ১৫ ঘণ্টায় শুধু তুতিকোরিনেই ৬০ সেন্টিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। কন্যাকুমারীতে ১৭.৩ সেন্টিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে বেশ কিছু নদী। দুর্যোগে ত্রাণ বণ্টন ব্যবস্থায় নজরদারি করার জন্য ওই এলাকায় বেশ কিছু মন্ত্রী এবং আমলাকে পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। ৫০ সদস্যের দু’টি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলী বাহিনীর দল উদ্ধারকাজের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। কিছু দিন আগেই ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের দাপটে বানভাসি হয়েছিল তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাই এবং তার নিকটবর্তী জেলাগুলি।

আরও পড়ুন
Advertisement