Farmers Protest

Farmer's protest: ‘দিল্লির গলা টিপেছেন কৃষকেরা’

বিচারপতি এ এম খানউইলকর ও বিচারপতি সি টি রবিকুমারের বেঞ্চ কৃষকদের বলেছে, ‘‘আপনারা গোটা শহরের (দিল্লির) গলা টিপে ধরেছেন। আর এখন শহরে ঢুকে এখানে আন্দোলন শুরু করতে চাইছেন।’’

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২১ ০৮:১৮
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

দিল্লির যন্তর মন্তরে তাঁদের ‘সত্যাগ্রহ’ করার অনুমতি দেওয়া হোক, সুপ্রিম কোর্টের কাছে এই আর্জি জানিয়েছেন আন্দোলনকারী কৃষকেরা। এর শুনানিতে শুক্রবার তাঁদেরই ভর্ৎসনা করল শীর্ষ আদালত। বিচারপতি এ এম খানউইলকর ও বিচারপতি সি টি রবিকুমারের বেঞ্চ কৃষকদের বলেছে, ‘‘আপনারা গোটা শহরের (দিল্লির) গলা টিপে ধরেছেন। আর এখন শহরে ঢুকে এখানে আন্দোলন শুরু করতে চাইছেন।’’ কেন্দ্রের তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলন সম্পর্কে সরকারের ভূমিকা নিয়ে বৃহস্পতিবারই প্রশ্ন তুলেছে শীর্ষ আদালত।
কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লির বাইরের জাতীয় সড়ক আন্দোলনকারীরা অবরোধ করে রেখেছেন দীর্ঘ দিন ধরে। রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন নিয়ে কাল অসন্তোষ প্রকাশ করেছে শীর্ষ আদালত।
যন্তর মন্তরে তাঁদের সত্যাগ্রহ পালন করতে দেওয়ার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে কিসান মহাপঞ্চায়েত। এ দিন তাদের কৌঁসুলি অজয় চৌধরির কাছে কোর্ট জানতে চায়, স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে কি এই ব্যাপারে অনুমতি নেওয়া হয়েছে? এই আন্দোলনে তাঁরা কি খুশি? বেঞ্চের বক্তব্য, ‘‘আপনারা এখানে সত্যাগ্রহ করতে চাইছেন। কিন্তু আপনারা তো কোর্টে গিয়েছেন। কোর্টে যখন গিয়েছেন, তখন বিচার ব্যবস্থার উপরে ভরসা রাখুন।’’ কেন্দ্রের তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে হাই কোর্টে গিয়েছেন আবেদনকারীরা। ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, ‘‘তা হলে এই সত্যাগ্রহের মানে কী? আপনারা কী বিচার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।’’ কৌঁসুলি অজয় উত্তর দেন, ‘‘না।’’ তিনি জানান, তিনটি কৃষি আইনের বৈধতা বিচার করে দেখছে কোর্ট।
আজ কোর্ট বলেছে, আন্দোলনের অধিকার থাকলে নাগরিকদেরও ভয় ছাড়া সর্বত্র যাতায়াতের অধিকার রয়েছে। অজয়ের দাবি, কৃষকেরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। কোর্ট বলে, ‘‘আপনারা ট্রেন আটকাচ্ছেন, জাতীয় সড়ক অবরোধ করছেন আর বলছেন শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ।’’ অজয়ের দাবি, জাতীয় সড়ক কৃষকেরা নয়, আটকেছে পুলিশ। কিসান মহাপঞ্চায়েত জাতীয় সড়ক অবরোধ করেনি। অজয়কে ই-মেলের মাধ্যমে হলফনামা দিয়ে এই কথা জানাতে বলেছে কোর্ট। পরবর্তী শুনানি ৪ অক্টোবর।

Advertisement
আরও পড়ুন
Advertisement