S Jaishankar

পাকিস্তানে এসসিও মঞ্চে সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে সরব জয়শঙ্কর, নিশানায় চিনের অর্থনৈতিক করিডরও

ইসলামাবাদের 'জিন্না কনভেনশন সেন্টার'-এ আয়োজিত এসসিও বৈঠকে বিদেশমন্ত্রীা বলেন, ‘‘বাণিজ্য আর যোগাযোগের পথে বড় অন্তরায় হল সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদ।’’

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:০৫
পাকিস্তানে এসসিও বৈঠকে জয়শঙ্কর।

পাকিস্তানে এসসিও বৈঠকে জয়শঙ্কর। ছবি: পিটিআই।

শাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজ়েশন (এসসিও)-এর মঞ্চ থেকেই জঙ্গি সমস্যা প্রসঙ্গে সরব হলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বুধবার পাকিস্তানের মাটিতে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘‘বাণিজ্য আর যোগাযোগের পথে বড় অন্তরায় হল সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদ।’’

Advertisement

ওই তিন সমস্যার কড়া ভাবে মোকাবিলা না করা গেলে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং কূটনৈতিক সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন জয়শঙ্কর। ইসলামাবাদের 'জিন্না কনভেনশন সেন্টার'-এ আয়োজিত এসসিও বৈঠকে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি)-এর সম্প্রসারণ প্রসঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের মন্তব্যের সমালোচনাও করেছেন বিদেশমন্ত্রী। তাঁর সাফ কথা, ‘‘সিপিইসি-র একাংশ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে।’’

উন্নয়নশীল দেশগুলির (গ্লোবাল সাউথ) সঙ্কট এবং অগ্রাধিকারকেও এসসিও মঞ্চে তুলে ধরেন জয়শঙ্কর। সরব হন খাদ্য, জ্বালানি ও সারের নিরাপত্তা নিয়ে। বিধানসভা ভোটের আগে গত কয়েক মাস ধরে জম্মু-কাশ্মীরে একের পর এক জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটছে। সূত্রের খবর, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই সব জঙ্গি হামলার নেপথ্যে পাকিস্তানের সামরিক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর মদত রয়েছে। কূটনৈতিক মহলের একাংশের মতে, জম্মু ও কাশ্মীরে সুষ্ঠু বিধানসভা ভোটের পরে বিদেশমন্ত্রীকে পাকিস্তানে পাঠানো মোদী সরকারের তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত ছিল। তারই প্রতিফলন বুধবার দেখা গিয়েছে বিদেশমন্ত্রীর বক্তৃতায়। দু’দিনের পাক সফর শেষে বুধবারই দেশে ফিরছেন তিনি।

আরও পড়ুন
Advertisement