বৈসরণের সেই এলাকার চিত্র। ছবি: সংগৃহীত।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানার পর থেকে জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে নিরাপত্তাবাহিনী। জঙ্গিদের তালিকা তৈরি করে তাদের বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে। গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বাড়িঘর। সেই আবহেই তল্লাশি অভিযানে জানা গেল, জঙ্গিদের সাহায্য করেছিলেন বেশ কয়েক জন স্থানীয় বাসিন্দাও। সে রকম অন্তত ১৫ জনের তালিকাও তৈরি করল পুলিশ।
নানা সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, জঙ্গিদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা এবং অস্ত্র মজুত ও সরবরাহ করে সাহায্য করেছিলেন স্থানীয় কয়েক জন বাসিন্দা। প্রাথমিক ভাবে এমন পাঁচ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। অভিযোগ, ঘটনার দিন বৈসরনের আশপাশেই ছিলেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে তিন জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তকারীদের সূত্রের দাবি, ওই তিন জনের মোবাইলে পহেলগাঁও হামলার দিনকয়েক আগের কিছু গ্রুপ চ্যাটও মিলেছে, যাতে জঙ্গিদের সাহায্য করার প্রসঙ্গে আলোচনা করেছিলেন তাঁরা।
পহেলগাঁও জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার অন্তর্গত। গোটা জেলা জুড়ে তল্লাশি অভিযানে এখনও পর্যন্ত আটক হয়েছেন প্রায় ২০০ জন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ছাড়া, একাধিক তল্লাশি অভিযানে জঙ্গিদের বাঙ্কারেরও হদিস পেয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী। শনিবার উপত্যকার সেদোরি নালা মুস্তাকাবাদ মছিলের জঙ্গলে অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের বাঙ্কারের হদিস মেলে। উদ্ধার হয় প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তুজ। সেগুলির মধ্যে ছিল পাঁচটি একে-৪৭ রাইফেল, আটটি একে-৪৭ ম্যাগাজ়িন, একটি পিস্তল, একটি পিস্তল ম্যাগাজ়িন, একে-৪৭-এর ৬৬০টি কার্তুজ এবং এম৪ বন্দুকের ৫০টি কার্তুজ। সূত্রের খবর, পহেলগাঁও এবং পুলওয়ামাকাণ্ডের সঙ্গে যে সব স্থানীয় জঙ্গি ও তাদের সাহায্যকারীর নাম উঠে এসেছে, সে রকম ১৫ জনের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাদের খুঁজে বার করার কাজও শুরু করে দিয়েছে সেনা।